সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় ২৫ দিন অভুক্ত থেকে ২৬তম দিনে অনশন ভেঙেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তিনি ছিলেন বিরোধী আসনে। আজ তিনি শাসকের গদিতে। আর তাঁর সেই 'রেকর্ড' আজ ভেঙে গেল কিছু সরকারি কর্মীদের জেদের কাছে। আজ সরকারি কর্মীদের অনশনের ২৭তম দিন। অসুস্থতার মাঝেও অনশন জারি রেখেছেন ভাস্কর ঘোষরা।
1/6উল্লেখ্য, অনশন করতে করতে বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞচের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। শীররে ভাঙলেও মনে সাহস নিয়ে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আপাতত এই ডিএ আন্দোলনের অন্যতম 'মুখ' হিসেবে তাঁকেই চিনেছেন সবাই। আজ তাঁর অনশনের ২৭তম দিন। হিসেব মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৬ দিনের অনশনের 'রেকর্ড' ভাঙল আজ। তবে এখানেই থেমে থাকা নয়। হকের ডিএ আদায়ের জন্য আরও বহু দূর যেতে প্রস্তুত ভাস্করবাবুরা।
2/6এদিকে ১০ মার্চের ধর্মঘটের আগে গত রবিবার শহিদ মিনারের সামনে বিশাল জনসমাবেশ করেন ডিএ আন্দোলকারীরা। সরকারি কর্মীরা ঝাঁকে ঝাঁকে সেখানে উপস্থিত হন। চড়া রোদ থেকে বাঁচতে সবার মাথাতেই ছিল ছাতা। সমাবেশের একদিন আগে ছাতা আনার বার্তা দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক তথা এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ। তবে নিজেই রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ভাস্করবাবু।
3/6রবিবার আচমকাই ধরনামঞ্চে অসুস্থ হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক তথা এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ। জানা গিয়েছে, ভাস্করবাবুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে ভরতি করা হয় তাঁকে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, অসুস্থ অবস্থায় যখন ভাস্কর ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁর গাড়িকে।
4/6জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় আচমকাই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে অসুস্থ বোধ করেন ভাস্কর ঘোষ। ধরনামঞ্চেই সজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। প্রসঙ্গত, অনশনের প্রথম দিন থেকেই অসুস্থ থাকছেন ভাস্করবাবু। তবে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগেও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ভাস্করবাবুকে। সেই সময় এসএসকেএম-এ ভরতি করতে গেলে তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
5/6এরই মাঝে রবিবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। অসুস্থ ভাস্করবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে গাড়িতে তোলা হয়, সেই গাড়ির চালক কিছু না জানিয়েই ভাস্করবাবুকে এসএসকেএম-এ নিয়ে যায়। সেখানে ভাস্কর ঘোষকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভাস্করকে ভর্তি প্রচেষ্টা হয়। সরকারি হাসপাতালে ভাস্করবাবুর অনশন ভাঙানোর চেষ্টা হত বলে অভিযোগ আন্দোলকারীদের। সেই নিয়ে পুলিশ ও ডিএ আন্দোলকারীদের মধ্যে বচসা হয়।
6/6পরে ওই গাড়ি থেকে নামিয়ে ভাস্করবাবুকে মিডিয়ার গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এরপর পুলিশ চাপে পড়ে ভাস্করবাবুকে সল্টলেকের হাসপাতালে নিয়ে যেতে সম্মত হয়। এরপর পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ডিএ আন্দোলনকারীদের। অভিযোগ, ১০ মিনিটের রাস্তা মোটামুটি ৪০ মিনিট সময় নিয়ে পার করানো হয়। গাড়ি 'এদিক-ওদিক' ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।