গতমাসের ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি ডাক দেওয়া ডিএ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তবে এখনও সেই সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে কলকাতা পুরসভায় ডিএ আন্দোলন দমানোর প্রচেষ্টায় তিন নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করা হল।
1/5প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ডিএ আন্দোলকারীদের উদ্দেশে বিরূপ মন্তব্য করে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মে.র ফিরহাদ হাকিম। তবে কলকাতা পুরসভাতেও ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে সুর চড়ছে কর্মীদের। এই আবহে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ভবনেই বাম কর্মচারী সংগঠন মঞ্চ বেঁধে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়।
2/5ডিএ আন্দোলনের মঞ্চ তৈরিতে ব্যবহৃত বাঁশ, ত্রিপল, দড়ি নিয়ে কেন্দ্রীয় ভবনে ঢোকার অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও সরকারি কর্নীদের এই সব জিনিস নিয়ে দফতরে ঢুকতে দেওয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ঠিকা সংস্থার ৩ নিরাপত্তারক্ষীকে মৌখিকভাবে সাসপেন্ড করেছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। যদিও, ইতিমধ্যেই একজনের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনও দুই নিরাপত্তারক্ষীর সাসপেন্ড রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
3/5বেশ কিছুদিন আগে ডিএ-সহ একাধিক দাবিতে মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল পুরসভার বাম কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা। সেই সময় ডেপুটি-মেয়র অতীন ঘোষ আন্দোলকারীদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। জানা গিয়েছে, কর্মীদের দাবিকে নৈতিক সমর্থন জানান তিনি। পাশাপশি বিষয়গুলি মেয়রকে জানাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে মেয়র গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছেন।
4/5এদিকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট ডেকেছেন। সেই ধর্মঘটকে সফল করতে শুক্রবার বিকেলে কলকাতায় মিছিল করলেন সরকারি কর্মচারীরা। বিকেল ৫টা থেকে এই মিছিল শুরু হয়। ধর্মতলা থেকে মৌলালি পর্যন্ত যায় মিছিলটা। ১২ জুলাই কমিটি এই মিছিল ডেকেছিল। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রায় ৩২ টি সংগঠনও মিছিলে অংশ নিয়েছিল।
5/5প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। ২৮ ফেব্রুয়রি দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।