১০ মার্চের ধর্মঘটের আগে গতকাল শহিদ মিনারের সামনে বিশাল জনসমাবেশ করেন ডিএ আন্দোলকারীরা। সরকারি কর্মীরা ঝাঁকে ঝাঁকে সেখানে উপস্থিত হন। চড়া রোদ থেকে বাঁচতে সবার মাথাতেই ছিল ছাতা। সমাবেশের একদিন আগে ছাতা আনার বার্তা দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক তথা এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ। তবে নিজেই গতকাল অসুস্থ হলেন ভাস্করবাবু।
1/5গতকাল আচমকাই ধরনামঞ্চে অসুস্থ হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক তথা এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ। জানা গিয়েছে, ভাস্করবাবুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে ভরতি করা হয় তাঁকে। আপাতত ভাস্করবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর পালস রেট ৫০-এর কাছাকাছি। ওঠানামা করছে রক্তচাপ। প্রসঙ্গত, বিগত ২৪ দিন ধরে অনশন করছেন ভাস্করবাবু।
2/5এদিকে অভিযোগ উঠেছে, অসুস্থ অবস্থায় যখন ভাস্কর ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তার গাড়িকে। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এর পর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ভাস্কর ঘোষ হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে ভরতি করা হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। যদিও তাঁর রক্তচাপ ১৫০, কখনও আবার ১০০-র কাছাকাছি চলে আসছে। তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে।
3/5জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় আচমকাই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে অসুস্থ বোধ করেন ভাস্কর ঘোষ। ধরনামঞ্চেই সজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। প্রসঙ্গত, অনশনের প্রথম দিন থেকেই অসুস্থ থাকছেন ভাস্করবাবু। তবে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগেও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ভাস্করবাবুকে। সেই সময় এসএসকেএম-এ ভরতি করতে গেলে তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
4/5এদিকে গতকাল অসুস্থ ভাস্করবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে গাড়িতে তোলা হয়, সেই গাড়ির চালক কিছু না জানিয়েই ভাস্করবাবুকে এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভাস্কর ঘোষকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভাস্করকে ভর্তি প্রচেষ্টা হয়। সরকারি হাসপাতালে ভাস্করবাবুর অনশন ভাঙানোর চেষ্টা হত বলে অভিযোগ আন্দোলকারীদের। সেই নিয়ে পুলিশ ও ডিএ আন্দোলকারীদের মধ্যে বচসা হয়।
5/5পরে ওই গাড়ি থেকে নামিয়ে ভাস্করবাবুকে মিডিয়ার গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এরপর পুলিশ চাপে পড়ে ভাস্করবাবুকে সল্টলেকের হাসপাতালে নিয়ে যেতে সম্মত হয়। এরপর পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ডিএ আন্দোলনকারীদের। অভিযোগ, ১০ মিনিটের রাস্তা মোটামুটি ৪০ মিনিট সময় নিয়ে পার করানো হয়। গাড়ি 'এদিক-ওদিক' ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।