রাজ্যের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেটে 'চিরকুট দেখে' তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন। মার্চ মাস থেকেই সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হয়েছে। তবে সেই ডিএ নিতে নারাজ সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের। এই বর্ধিত ডিএ প্রত্যাখ্যান করেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।
1/5উল্লেখ্য, রায়গঞ্জের ধলগাঁও জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক পার্থ প্রতীম চৌধুরী ৩ শতাংশ বর্ধিত ডিএ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণও একই দাবি জানান। এ নিয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপি প্রামাণিক বলেন, 'এই ধরনের ব্যক্তিগত প্রতিবাদকে আমরা স্যালুট জানাই।'
2/5প্রসঙ্গত, বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা ২০২৩ সালের মার্চ থেকে কার্যকর হবে। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা এর লাভ পাবেন। এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তিন শতাংশ ডিএ পান। নয়া ঘোষণার ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ছয় শতাংশ ডিএ পাবেন। প্রশাসনের বক্তব্য, সরকারের ঘোষণা মতো মাস মাইনের সঙ্গে ডিএ আসবে। এবার কেউ সেটা ফিরিয়ে দেবেন কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
3/5এদিকে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।
4/5উল্লেখ্য, বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝেই গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পেন-ডাউন রাখেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এদিকে ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। তবে এত কিছু করেও হকের টাকা মেলেনি।
5/5এই আবহে বকেয়া ডিএ না মেটানো হলে ফের একবার পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। সরকারি কর্মীরা ঠিক করেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটকর্মীদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটায় কোনও তথ্য দেবেন না তাঁরা। এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা।