বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট ডেকেছেন। সেই ধর্মঘটকে সফল করতে শুক্রবার বিকেলে কলকাতায় মিছিল করলেন সরকারি কর্মচারীরা। বিকেল ৫ টা থেকে এই মিছিল শুরু হয়। ধর্মতলা থেকে মৌলালি পর্যন্ত যায় মিছিলটা। ১২ জুলাই কমিটি এই মিছিল ডেকেছিল। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রায় ৩২ টি সংগঠনও মিছিলে অংশ নিয়েছিল।
1/5বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহকারী সম্পাদক স্বপন মণ্ডল সরকারি কর্মীদের মিছিল প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বকেয়া ডিএ মেটানো, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়িত্ব ও রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার- এই ৪ দাবিতে মিছিলের আয়োজন। ১০ তারিখ বনধ ডাকা হয়েছে। সেই বনধ সফল করতে যাতে সরকারি কর্মীরা ভয় না পান, সেজন্য এই মিছিল।'
2/5মিছিল নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ মিছিলের আগেই জানিয়ে দেন যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা এই মিছিলে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, 'এই সরকার রাজ্যের কর্মীদের উপর বঞ্চনা করছে। তার প্রতিবাদেই আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তার আগে এই মিছিল সরকারি কর্মীদের মনোবল আরও বাড়াবে বলেই তাঁরা আশা করছি।'
3/5প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। ২৮ ফেব্রুয়রি দুই ঘণ্টার র্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
4/5এদিকে ৫ মার্চ, রবিবার, ময়দান এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন কররা ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত কর্মপ্রার্থী এবং বিভিন্ন ছাত্র-যুব সংগঠনকেও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এই আবহে সেদিন ময়দানে বড় জমায়েত করা হবে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
5/5এদিকে আগামী ১৫ মার্চ ফের ডিএ মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় কার্যকর করার একেবারে শেষলগ্নে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রাখা হয়েছিল ২০ মে'র রায়। এরপরই মামলা গড়ায় সর্বোচ্চ আদালতে।