বাংলা নিউজ > ছবিঘর > বাংলার মুখ > Govt's Steps against 10th March DA Strike: ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট ব্যর্থ করতে কোমর কষল নবান্ন, নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ
Govt's Steps against 10th March DA Strike: ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট ব্যর্থ করতে কোমর কষল নবান্ন, নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচাী সংগঠনগুলি। তবে এই ধর্মঘট যাতে সফল না হয়, তার জন্য কোমর কষছে রাজ্য সরকার। এই আবহে সরকারি কর্মীদরে উদ্দেশে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
1/6ওই দিন বিনা কারণে কেউ ছুটি নিলে তাঁর চাকরিজীবনে ছেদের নির্দেশিকা জারি করা হবে নবান্নর তরফে। এর আগে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারির কর্মবিরতির সময়ও এই নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার। তবে কর্মচারীদের দাবি, এভাবে 'সার্ভিস ব্রেক' করা যায় না। তবে রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, ১০ মার্চ কোনও কর্মচারী ছুটি নিয়ে যদি তার সঠিক কারণ না দেখাতে পারেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।
2/6এদিকে ১০ মার্চ পরিবহণ কিংবা স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সমস্ত সরকারী হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতাল সুপার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডেপুটি সুপার, শিশুরোগ, শিশুরোগ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, শিশুদের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত সমস্ত সরকারি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ কর্মীদের ছুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
3/6উল্লেখ্য, বামপন্থী চিকিৎসক সংগঠন ১০ মার্চের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী কর্মবিরতিতে যাওয়ার ডাক দিয়েছে। এই আবহে রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, না জানিয়ে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী 'সিএল' নিতে পারবেন না। একান্তই ছুটির প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তব্যরত আধিকারিকের অনুমোদন নিতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং পরিবর্তী নির্দেশিকা জারি না করা পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে।
4/6এদিকে প্রাথমিক ভাবে ভিন্ন অবস্থান নিলেও পরবর্তীতে বঙ্গীয় শিক্ষা ও শিক্ষক কর্মচারী সমিতি জানিয়েছে, ১০ মার্চের ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে তারা। এদিকে শীঘ্রই শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই আবহে শিক্ষকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ এসেছে। তবে ধর্মঘটের সঙ্গে এই ছুটি বাতিলের কোনও সম্পর্ক নেই। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতি বাদে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার দিনগুলিতে ছুটি নেওয়া চলবে না। তবে এর আগে ফেব্রয়ারি মাসের কর্মবিরতির আগের দিন পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব শিক্ষককে স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছিল।
5/6এর আগে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ায়রির কর্মবিরতির সময় রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, যারা ওই দুদিন কর্মবিরতিতে অংশ নেবেন তাদের চাকরি জীবনে ১ দিন ছেদ পড়বে এবং তাদের শো কজ করা হবে। পাশাপাশি তাদের এক দিনের বেতনও কেটে নেওয়া হবে।
6/6প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।