কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ জেলায় জেলায় ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। ধর্মঘটী সেই সরকারি কর্মীদের শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে সরকারের তরফে। সেই নোটিশের জবাবে পালটা কড়া জবাব লিখছেন সরকারি কর্মীরা। সরকারি নোটিশের তোয়াক্কা না করে ধর্মঘটীদের জবাব, 'ঠিক করেছি।'
1/5জানা গিয়েছে, ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীরা সরকারি শোকজ নোটিশের জবাবি পত্রে লিখছেন, 'গত ১০ মার্চ নিয়ম মেনেই নায্য দাবির পক্ষে ধর্মঘট করা হয়েছে।' সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা চাইছিলেন যাতে সরকার তাঁদের শোকজ নোটিশ পাঠাক। তাঁদের কথায়, সরকারের নোটিশের প্রেক্ষিতে এবার তাঁরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
2/5উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা 'ধর্মঘটের অধিকার' আছে।
3/5এদিকে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের উদ্দেশে সরকারের বিভিন্ন দফতরের তরফে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে বিগত ৪-৫ দিনে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে।
4/5প্রসঙ্গত, বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগেই সরকারি কর্মীদের ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল সরকার। তা সত্ত্বেও ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন অনেক সরকারি কর্মচারী। এবার একে একে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, গত শনিবারই এই প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। তবে সরকারের এই পদক্ষেপে একেবারেই বিচলিত নন সরকারি কর্মচারীরা।
5/5আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।