গতকাল টুইট করে ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মতো আজ সকালে পাঁচ ডিএ আন্দোলনকারী পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন সরকারি কর্মচারীরা। বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, রাজ্যপাল তাঁদের পাশে আছেন। এদিকে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, অনশন প্রত্যাহার করা হবে না এখনই।
1/5আজকে রাজ্যপালের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর সরকারের ওপর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজভবনের বৈঠকের পর আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বলেন, 'রাজ্যপাল নিজে প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।' সরকারি কর্মীদের আরও দাবি, রাজ্যপাল নাকি তাঁদের বলেছেন, এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তিনি। (Saikat Paul)
2/5রবিবার বেলা ১১টার নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য। রাজভবনে প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, 'সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ।' (Saikat Paul)
3/5উল্লেখ্য, ডিএ-র দাবিতে চলছে সরকারি কর্মীদের অনশন। সেই অনশন বন্দের আবেদন করে গতকাল টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে ডিএ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর শনিবার আন্দোলনকারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন তিনি। রাজ্যপালের বার্তা, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানের রাস্তা বার করতে হবে। এর জন্য তিনি রাজ্য সরকারের কাছেও অনুরোধ জানান। (Saikat Paul)
4/5এর আগে গতকালকের টুইট বার্তায় রাজ্যপাল লেখেন, 'আমি গভীর ভাবে ব্যথিত যে কর্মচারীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করছে। যে কোনও সমস্যা জটিল হতে পারে, কিন্তু সবসময় সমাধানের একটি সহজ উপায় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের ভাইদের মূল্যবান জীবন, যারা তাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি কারণের জন্য ক্রমাগত অনশন করছেন।' তিনি আরও লিখেছেন, 'যাঁরা এই বিপজ্জনক অনশনে রয়েছেন, তাঁদের দয়া করে এটি শেষ করার জন্য অনুরোধ করছি এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের এক সঙ্গে বসতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করছি।' (Saikat Paul)
5/5প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন। (Saikat Paul)