DA protest intensified: ধর্মঘটের পর এবার নয়া ‘মাস্টারস্ট্রোক’ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে তাঁরা রাজ্যের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন। যে কর্মসূচি আগামী শনিবার (১৮ মার্চ) থেকে শুরু হবে। কী কী করবেন সরকারি কর্মীরা, তা দেখে নিন -
1/6মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে ধর্মঘটের পর এবার 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-র পথে হাঁটলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ডিজিটালি অসহযোগিতা করা হবে। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনও নির্দেশ দিলে, তা পালন করবেন না সরকারি কর্মচারীরা। হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে যাবেন বলেও জানানো হয়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
2/6'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-র ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের (শিক্ষক, অশিক্ষাকর্মীদের জন্যও) কী করতে হবে, তা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারি সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে,সরকারি কাজকর্মের জন্য ব্যক্তিগত ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন ধরবেন না। নির্দেশ গ্রহণ করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। দফতরের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট করে যান।' (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
3/6সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে,'অফিসের সময়ের আগে বা পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তোনও নির্দেশ গ্রহণ করবেন না (সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের আগে এবং বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের পরে)। অফিসের সময়ের পর কাজ করার প্রশ্নই উঠছে না। ছুটির দিনে কোনওভাবে অফিসের কাজ করবে না। অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না। নিজস্ব ফোন, কম্পিউটার ও ডেটা ব্যবহার করে কোনও কাজ করবেন না।' (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
4/6সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছে, 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এ সামিল হবেন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরাও। তবে সেই আন্দোলনের জেরে কোনওভাবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে না। উচ্চমাধ্যমিকে যে শিক্ষকের যেমন দায়িত্ব পড়েছে, তাঁরা সেই দায়িত্ব পালন করবেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
5/6এমনিতে বকেয়া ডিএ প্রদান এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান-সহ একগুচ্ছ দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ইতিমধ্যে কর্মবিরতি, প্রশাসনিক ধর্মঘট করেছেন। কয়েকজন সরকারি কর্মচারী অনশনও করছেন। কিন্তু দাবিপূরণ না হওয়ায় এবার নবান্নের সঙ্গে ডিজিটালি অসহযোগিতার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি, দাবি মতো ডিএ না দিলে এরকম অসহযোগিতা চলতে থাকবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
6/6বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ছয় শতাংশ হারে ডিএ পান (ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায়)। তাও আন্দোলনের মধ্যে মার্চ থেকে তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানোর পর মহার্ঘ ভাতার অঙ্কটা ছয় শতাংশে ঠেকেছে। কিন্তু সেটাও কেন্দ্রীয় হারের ধারকাছে বলে দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। আপাতত সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পান (যা শীঘ্রই বেড়ে ৪২ শতাংশ হতে পারে)। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)