ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে আজ ধর্মতলায় ধরনামঞ্চে যান শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির বহু বিধায়ক। পরে সএখানে যান আইএসফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও। গতকাল ডিএ আন্দোলনকারীদের সমাবেশে একই মঞ্চে ছিলেন বাম, কংগ্রেস, বিজেপি নেতারা। এই আবহে রাজনৈতিক ভাবে ডিএ ইস্যুতে চাপে রয়েছে সরকার। আর তাই ফের মুখ খুললেন মমতা।
1/5বিধানসভা আজ রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ডিএ নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। তা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘোষণা হয়েছিল ডিএ। প্রস্তাব হয়নি। পঞ্চম পে কমিশনে যা বকেয়া রেখে গিয়েছিল তাও দিয়েছি। কোনও রাজ্যে পেনশন দেওয়া হয় না। আমাদের রাজ্যে দেওয়া হবে। সেটা কি বন্ধ করে দেওয়া হবে? এটাই কি চাইছেন বিরোধীরা?'
2/5এদিকে এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মাহার্ঘ ভাতা ইস্যুতে মুখ খোলেন বিধানসভায়। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের থেকে রাজ্য বেশি ছুটি দেয় সরকারি কর্মীদের। তিনি আরও জানান, দুই সরকারের কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর ফারাকও। গত বেতন কমিশন ও বেতন কমিশন মিলিয়ে ডিএ-র 'হিসেব' দেন মমতা। বলেন, '৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে রাজ্যে ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে।' মুখ্যমন্ত্রী এরপর বলেন, ‘আর কত চাই, কত হলে সন্তুষ্ট হবেন? আমায় পছন্দ না হলে আমার মুণ্ড কেটে নিন। এর থেকে বেশি আমার থেকে পাবেন না।’ এরপর মমতা পালটা প্রশ্ন করেন, ‘পেনশন না দিলে আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যায়। বিরোধী দলের কাছে জানতে চাইছি, পেনশন বন্ধ করে দেব? ১ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। টাকা তো আকাশ থেকে পড়বে না।’
3/5প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।
4/5এই আবহে বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। ২৮ ফেব্রুয়রি দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
5/5এদিকে সরকার সূত্রে খবর, সেই প্রশাসনিক ধর্মঘট নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারি কর্মচারীদের সেদিন বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে হাজির থাকতে বলা হবে। কেউ যদি ‘উপযুক্ত’ কারণ ছাড়া ছুটি দেন, তাহলে তাঁকে শো-কজ করা হবে। সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে তাঁদের চাকরিজীবনে ছেদ পড়বে বলে সূত্রের খবর। ১০ মার্চ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক রাখার জোর দেওয়া হচ্ছে।