নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর 'বান্ধবী' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন পার্থ। তবে এরই মাঝে আইনজীবী মারফত সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা জানান, তিনি আদালতে এসে কিছু বলতে চান।
1/4উল্লেখ্য, নিরাপত্তার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনলাইনেই মামলার শুনানিতে অংশ নেন সাধারণত। তবে সেই পার্থ এবার আদালতে আসতে চান। মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের জামিন মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন পার্থ জানান, তিনি আদালতে এসে বেশ কিছু কথা বলতে চান। তাঁর এহেন ইচ্ছায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। (HT_PRINT)
2/4পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতকালকের শুনানিতে বিচারককে বলেন, 'আমার শরীর ভালো নেই। পা ফুলে গিয়েছে। জেলে সেই পরিকাঠামো নেই। যদি মরেই যাই তাহলে আর বিচার করে লাভ কি?' পার্থ আরও বলেন, 'আমি অনেক কিছু বলতে চাই। আদালতে আসতে চাই। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানাব। আট মাস হয়ে গেল। এভাবে আর কতদিন চলবে?' (HT_PRINT)
3/4এদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গতকাল আদালতে বলেন, 'নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও আট মাস জেলে আটকে রাখা হয়েছে। আপনার কি মনে হয় না, একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে! আমি অত্যন্ত উচ্চবংশের মেয়ে। মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।' তবে অর্পিতার তরফে এদিন জামিনের আবেদনই করা হয়নি। (HT_PRINT)
4/4এদিকে আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের অভিযোগ করেন, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়াও অন্যান্য সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতিতেই ইডি তাঁর নাম যুক্ত করে দিতে চাইছে। মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী আদালতে বলেন, '১০ অক্টোবর থেকে মানিক ভট্টাচার্য হেফাজতে রয়েছেন। উনি নাকি সহযোগিতা করেননি বলেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই বলেছে উনি সহযোগিতা করছেন। ইডি কৌশল নিয়েছে 15 দিন, এক মাস করে সময় নষ্ট করার। শুনানিতে সময় নিচ্ছে। সেই জন্য মামলাটি কিছুটা শুনানি করার পর ফের আগামী মঙ্গলবার রাখা হয়েছে শুনানির জন্য।' (HT_PRINT)