ডিএ-র দাবিতে চলছে সরকারি কর্মীদের অনশন। সেই অনশন বন্দের আবেদন করে গতকাল টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই আবহে আজ সকাল ১১টার সময় ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠকে বসার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এদিকে সরকারের তরফে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের শোকজ করা হয়েছে। এই আবহে আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা।
1/5প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে ডিএ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর শনিবার আন্দোলনকারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন তিনি। রাজ্যপালের বার্তা, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে 'গ্রহণযোগ্য' সমাধানের রাস্তা বার করতে হবে। এর জন্য তিনি রাজ্য সরকারের কাছেও অনুরোধ জানান। (Saikat Paul)
2/5গতকালকের টুইট বার্তায় রাজ্যপাল লেখেন, 'আমি গভীর ভাবে ব্যথিত যে কর্মচারীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করছে। যে কোনও সমস্যা জটিল হতে পারে, কিন্তু সবসময় সমাধানের একটি সহজ উপায় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের ভাইদের মূল্যবান জীবন, যারা তাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি কারণের জন্য ক্রমাগত অনশন করছেন।' রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস টুইটে আরও লিখেছেন, 'যাঁরা এই বিপজ্জনক অনশনে রয়েছেন, তাঁদের দয়া করে এটি শেষ করার জন্য অনুরোধ করছি এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের এক সঙ্গে বসতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করছি।' (Saikat Paul)
3/5এদিকে জানা গিয়েছে, ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়ায় শনিবার অন্তত ২০ থেকে ২২ জন সরকারি কর্মচারীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে নবান্ন। ডিএ ধর্মঘটে আরও যাঁরা সামিল হয়েছিলেন, তাঁদেরও সোমবারের মধ্যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্ন সূত্রে। জানা গিয়েছে, স্কুল দফতরের বিভিন্ন পদের ২০-২২ জন কর্মীকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে শনিবার। পশ্চিম মেদিনীপুরের বারবনি ও মালদার এক স্কুলের শিক্ষকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে এদিন। (Saikat Paul)
4/5উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবারই এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই কথা জানানো হয়েছিল একথা। সেই অনুযায়ী, ধর্মঘটের একদিন পর, শনিবারই কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য প্রশাসন। (Saikat Paul)
5/5সরকারের তরফে জানানো হয়ছে, পশ্চিমবঙ্গের যে সরকারি কর্মচারী শুক্রবার অফিসে না গেলে একদিনের বেতন কাটা যাবে। একদিনের কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলেও শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য। (Saikat Paul)