বকেয়া ডিএ-র দাবিতে জানুয়ারি মাস থেকে চলছে আন্দোলন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনশনের 'রেকর্ড' ভেঙেছেন ভাস্কর ঘোষরা। এরই মাঝে ফিরহাদ হাকিম এই আন্দোলন ও অনশনকে 'নাটক' বলে আখ্যা দেন। আর এবার ফিরহাদের মন্তব্যের রেশ টেনেই ধরনা মঞ্চে পোস্টার পড়ল। সেই পোস্টারে লেখা - 'নাটক বন্ধ না করলে মঞ্চ ওড়ানো হবে'। এই নিয়ে ম.দান থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
1/5উল্লেখ্য, রবিবারই সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেই মন্তব্যের রেশ টেনেই পোস্টারের 'ভাষা' দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। অবশ্য আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের দাবি, এভাবে তাঁদের দমানো সম্ভব হবে না। আন্দোন, অনশন জারি থাকবে। বরং আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
2/5এর আগে গতকাল ডিএ আন্দোলন নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'নাটক আর আন্দোলনের মধ্যে তফাৎ আছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সেখানে বিশ্বাস না করে আন্দোলনে নামলাম। এর অর্থ কী?' রাজ্যের মন্ত্রী আরও বলেন, 'বিরোধী দলের নেতারা আন্দোলনের মঞ্চে যাচ্ছেন। এতে আলোচনার সম্ভাবনা বাড়ছে না। বরং উল্টোটা হচ্ছে। তাহলে তো আন্দোলনের দরকারই ছিল না। সেটা না করে এরা আন্দোলন করছেন, অনশন করছেন। অনশন মানে তো ছবি তুলতে যাচ্ছেন। তাহলে যিনি ছবি তুলতে যাচ্ছেন তাঁকে আমি কী বলব?'
3/5এদিকে গতকালই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য। বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, রাজ্যপাল তাঁদের পাশে আছেন। এদিকে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, অনশন প্রত্যাহার করা হবে না এখনই। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বলেন, 'রাজ্যপাল নিজে প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।' সরকারি কর্মীদের আরও দাবি, রাজ্যপাল নাকি তাঁদের বলেছেন, এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তিনি।
4/5প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।
5/5এদিকে ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মচারীদের শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়ছে, ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের বেতন কাটা যাবে। একদিনের কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলেও শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করা হবে।