বিগত ১২২ বছরের ইতিহাসে সবথেকে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারির সাক্ষী থেকে ভারত। আর মার্চের প্রথমেই যেন গ্রীষ্মের আগমন ঘটেছে। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি। এদিকে কলকাতায় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই গরম পড়তে শুরু করে গিয়েছে। এই আবহে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতায় তাপমাত্রার গণ্ডি ছাড়াতে চলেছে ৩৫ ডিগ্রি।
1/5এবছর বৃষ্টি কম হওযার আশঙ্কা করা হচ্ছে এমনিতেই। তার ওপর মার্চের শুরু থেকেই চড়া রোদে পুড়তে চলেছে ত্বক। সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চামড়ায় টান পড়ছে। অন্য বছর মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। তবে এবার সেই কালবৈশাখীর দেখা মিলবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। মাসের প্রথম সাতদিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
2/5আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন বঙ্গোপাসগরে কোনও ঘূর্ণাবর্ত নেই আপাতত। পূবালি হাওয়ার দাপটে উপকুলবর্তী অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস প্রবেশ করেছে। এদিকে উত্তর পশ্চিম দিকে যে বাতাস প্রবেশ করছে তার দাপট সেভাবে নেই। এই আবহে অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। দিনের বেলা পরিষ্কার শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বতবে ভোরে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে বেশ কিছু জায়গায়।
3/5হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মার্চ মাসের ৩ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে কলকাতা এবং দক্ষিবঙ্গে। আপাতত কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। তবে ৩ তারিখের পর থেকে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই আবহে দোলের আগেই গ্রীষ্মের অনুভূতি গ্রাস করবে দক্ষিণবঙ্গকে।
4/5আগামী ৫ দিন কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং আর কালিম্পংয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টা। তবে উত্তরবঙ্গের সমতলের অন্যান্য জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েকদিন।
5/5বুধবার কলকাতায় দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩১ ডিগ্রি এবং ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। মঙ্গলবার কলকাতা এবং তৎপার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।