ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল সরকার। গতকাল এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই কথা জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, এই ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি সরকারি দফতরে উপস্থিতির ওপর।
1/6নবান্নের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার নবান্ন-সহ রাজ্যের অন্যান্য সরকারি দফতরে হাজিরার হার ছিল নব্বই শতাংশের বেশি। উল্লেখ্য, ডিএ আন্দোলনে কোন কোন সরকারি কর্মী অংশ নিচ্ছেন, সেদিকে কড়া নজর রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সরকার। কর্মচারীদের অফিসে ঢোকা এবং বেরোনোর ওপর ছিল সরকারের নজর। পাশাপাশি, সারাদিনে দু'বার হাজিরা খাতায় সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের। (Sudipta Banerjee)
2/6এই আবহে রাজ্য সরকারের দাবি, দিনের শেষে দেখা গিয়েছে নব্বই শতাংশের বেশি হাজিরা ছিল শুক্রবার। যদিও ডিএ আন্দোলকারীদের পালটা দাবি, সরকারের প্রকাশিত অ্যাটেনডেন্স শিট ভুয়ো। ধর্মঘট সফল হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মীরা স্বতর্স্ফুত ভাবে এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেন। এদিকে জেলাশাসকদের সরকার নির্দেশ দিয়েছে, অনুপস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে। (Sudipta Banerjee)
3/6সরকারের তরফে জানানো হয়ছে, পশ্চিমবঙ্গের যে সরকারি কর্মচারী শুক্রবার অফিসে না গেলে একদিনের বেতন কাটা যাবে। একদিনের কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলেও শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য। (Sudipta Banerjee)
4/6এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে উপস্থিতির হার ছিল ১০০ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য দফতরে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্বরাষ্ট্র দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ, অর্থ দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশ, পর্যটন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬.৭৬ শতাংশ, কৃষি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৪.২ শতাংশ, পঞ্চায়েত দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৩.৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৮২.২১ শতাংশ। (Sudipta Banerjee)
5/6এছাড়া নবান্ন থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের স্কুলগুলিতে উপস্থিতির হার ছিল অন্যান্য দিনের থেকে ভালো। রিপোর্ট অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশরও বেশি। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ৫০৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের উপস্থিতির হার দুপুরে ১টা পর্যন্ত ছিল ৯৬.৬৫ শতাংশ। (Sudipta Banerjee)
6/6এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, যদি সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের ওপরে থাকে, তবে, শহিদ মিনারে এতো সরকারি কর্মীর জমায়েত কোথা থেকে হল? আন্দোলকারীদের দাবি, সরকারের প্রকাশিত অ্যাটেনডেন্স শিট ভুয়ো। ধর্মঘট সফল হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মীরা স্বতর্স্ফুত ভাবে এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেন। (Sudipta Banerjee)