জাতীয় ভোটার তালিকায় আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে আগামীতে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়ে বড় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি গতকাল এক অনুষ্ঠানে জানান, জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য বিল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
1/4আসন্ন বাদল অধিবেশনে জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য বিল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই তথ্য নথিভুক্ত করার পর তা জাতীয় ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং সেনসাস কমিশনারের নতুন সদর দফতরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই এই ঘোষণা করেন তিনি। (PTI)
2/4অমিত শাহ জানান, জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করার বিলটি সংসদে পাশ হয়ে গেলে তা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাজে অনেক সাহায্য করবে। তিনি জানান, ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন আইনে সংশোধনী হিসেবে আনা হবে নতুন এই বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুর যে তথ্য জাতীয় তালিকায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কাদের সাহায্য করা হবে, তারও ভিত্তি হবে এই তালিকা। (PTI)
3/4এর আগে কোনও যুবককে ১৮ বছর বয়সে পা রাখার পর ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হত। তবে নয়া বিল পাশ হলে কোনও নাগরিক ১৮ বছর পার করলেই নির্বাচন কমিশন নিজে থেকে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। এদিকে মৃত ভোটারের নামে ভুয়ো ভোট দেওয়াও বন্ধ হবে নয়া বিল আইনে পরিণত হলে। অমিত শাহ জানান, কেউ মারা গেলে সেই ব্যক্তির নাম আপনাআপনি সরে যাবে ভোটার তালিকা থেকে। (PTI)
4/4জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিলের খসড়া পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, ঘুরপথে এই বিল নিয়ে এসে দেশ জুড়ে এনআরসি-র পথ সুগম করছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর দেশে জনগণনা হয়নি। এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা আর শেষ হয়নি। এদিকে ২০১৯ সালের শেষে সিএএ বিরোধী আন্দোলন দেখা দিয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই আবহে নতুন এই বিল নিয়ে দিল্লির রাজনীতি সরগরম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারের দাবি, সরকারি কর্মীদের কাজ আসান করতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতেই এই রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিল আনা হচ্ছে। (PTI)