ভালো রিটার্ন পেতে হলে ঝুঁকির পরিমাণ কমিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা উচিত। শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো জায়গায় বিনিয়োগের মাঝারি থেকে উচ্চ পর্যায়ের ঝুঁকি রয়েছে। এই আবহে বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই মাধ্যমে বিনিয়োগে স্থিতিশীল হারে রিটার্ন পাওয়া যায়।
1/5বন্ড কী? বন্ড হল একধরনের চুক্তি বা ঋণপত্র। বন্ডের মাধ্যমে সরকার কিংবা কোনও সংস্থা ঋণ হিসেবে কোনও বিনিয়োগকারী বা সংস্থার থেকে নির্দিষ্ট সুদে টাকা নিয়ে থাকে। সেই নির্দিষ্ট সমকাল সম্পন্ন হলে কোম্পানি টাকা ফেরৎ দেবে। সেই সময় চুক্তি অনুযায়ী সুদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। বন্ডে বিনিয়োগের সময়সীমা স্বল্পমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী এবং মেয়াদবিহীন হতে পারে। সাধারণত এক্সচেঞ্জ মার্কেট এবং ওটিসি উভয় জায়গা থেকে বন্ড কেনাবেচা হয়।
2/5বন্ড মূলত ছ’প্রকারের হয় - সিকিওরড বন্ড, আনসিকিওরড বন্ড, কিউমুলেটিভ ইন্টারেস্ট, নন কিউমুলেটিভ ইন্টারেস্ট, রিডিমেবেল এবং পারপেচুয়াল ইন্টারেস্ট। ভারতে বন্ড ইস্যুকারীরা হল সরকারি বন্ড, কর্পোরেট বন্ড, পিএসইউ বন্ড।
3/5যদি বন্ড ইস্যুকারী সংস্থাটি ‘AAA’ রেটিংয়ের হয়, (সর্বোচ্চ সম্ভাব্য রেটিং) এটি বেশ নিরাপদ। কিন্তু যদি এটিকে ‘AA-’ রেট দেওয়া হয়, তাহলে তা অতটাও নিরাপদ নয়। এছাড়াও, মনে রাখতে হবে, একটি কোম্পানির জারি করা বন্ডে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিচ্ছেন।
4/5কর্পোরেট বন্ডে প্রথম থেকেই উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি থাকে। তবে পিএসইউ বন্ডের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেই বললেই চলে। এদিকে একটি ফিক্সড ডিপোজিটে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা করা হয়। তবে বন্ডের ক্ষেত্রে তা করা হয় না৷ সেই ক্ষেত্রে স্থায়ী আমানত বেশি ঝুঁকিহীন।
5/5মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বন্ডে বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়া আপনি সরাসরিও বিনিয়োগ করতে পারেন বন্ডে। কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগ করতে চাইলে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা কিনতে পারেন। এছাড়া কমার্শিয়াল বন্ড ব্যাঙ্ক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে বন্ড কিনতে পারবেন বিনিয়োগকারী। সরকারি বন্ডে যদি বিনিয়োগ করতে চান তা হলে সরাসরি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন।