রবিবার আইএনএস মরমুগাওঁ রণতরী থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে নৌসেনা। রবিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের বিষয়ে জানানো হয়।
1/6সম্প্রতি ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আইএনএস মরমুগাওঁ। সেই নয়া রণতরী থেকেই সফল উৎক্ষেপণ করা হল ব্রহ্মোস মিসাইল। মাঝ সাগরে সেই মিসাইল সফল ভাবে লক্ষ্যভেদ করে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে।
2/6২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আইএনএস মরমুগাওঁ। বিশাখাপত্তনম ক্লাসের চারটি রণতরীর মধ্যে এটি দ্বিতীয়। এটি মজগাওঁ ডকে তৈরি করা হয়েছিল। নৌসেনার 'ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো' এই রণতরীর নকশা তৈরি করেছিল।
3/6গোয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের নামে নামকরণ করা হয়েছে আইএনএস মরমুগাওঁ রণতরীর। এই রণতরী ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে শূন্যে মিসাইল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। তাছাড়া আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থায় সজ্জিত এই আইএনএস মরমুগাওঁ রণতরী।
4/6মরমুগাও বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক রণতরীর মধ্যে অন্যতম। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র বাহক এই রণতরী। অত্যাধুনিক অস্ত্র ছাড়াও এই রণতরীতে নতুন প্রযুক্তির ব়্যাডার ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতে তৈরি টর্পেডো লঞঅচার রয়েছে এতে। জৈবিক, রাসায়নিকের পাশাপাশি পারমাণবিক যুদ্ধ লড়তেও সক্ষম এই রণতরী।
5/6উল্লেখ্য, ব্রহ্মোস হল একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই মিসাইল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এখন ভারত নিজের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই মিসাইল তৈরি করতে শুরু করেছে। ভারত এখন ব্রহ্মোস মিসাইল বিদেশেও রফতানি করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ শব্দের গতিবেগের থেকেও দ্রুত। যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও ডুবোজাহাজ, বিমান এবং স্থল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষপণ করা সম্ভব।
6/6যখন প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল, সেই মুহূর্তে এই ব্রহ্মোসই ছিল বিশ্বের দ্রুততম সুপারসোনিক (শব্দের থেকেও বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বা ২.৮ মাখ গতিতে ছুটতে পারে ব্রহ্মোস মিসাইল। সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের অ্যান্টি-শিপ সংস্করণ গত বছরের এপ্রিলে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড যৌথভাবে সফলভাবে পরীক্ষা করেছিল।