World Breastfeeding Week 2022: মায়ের দুধ সন্তানের পুষ্টি এবং বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত দরকারি। কিন্তু এই সময়ে মায়েদেরও সচেতন থাকা দরকার। স্তন্যপান করানোর মাসগুিতে কোন কোন খাবার একদম খাবেন না?
1/10স্তন্যপান করানো মাতৃত্বের অভিজ্ঞতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এই পর্যায়ে কী খাবেন এবং কী খাবেন না— তা নিয়ে প্রত্যেক নতুন মায়ের মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন থাকে। কোন খাবারগুলি উপকারী সে সম্পর্কে সচেতনতা এবং মিথগুলি পরিষ্কার করা মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে এইচটি লাইফস্টাইল-এ সঙ্গে কথা বলেত গিয়ে অমেয়া কানাকিয়া বলেন, কিছু খাবার এই সময়ে খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু এটিও মনে রাখতে হবে, মায়ের শরীরের সমস্ত পুষ্টি প্রয়োজন। তাই খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। (Unsplash)
2/10চিকিৎসক বলছেন, সবুজ শাক-সবজি এই সময়ে একেবারে অপরিহার্য। এটি আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন মেটায় এবং মায়েদের সুস্থ রাখে। এছাড়াও মেথি, রসুন, নারকেল এবং ওটমিল ইত্যাদির মতো খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এগুলি দুধের উৎপাদন বাড়ায়। আর কী কী খেত বলছেন চিকিৎসকরা? কী কী বারণ করছেন? দেখে নেওয়া যাক। (Unsplash)
3/10১। পালং শাক: এটি ক্যালসিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ, কে, ই এবং সি-তে সমৃদ্ধ। তাই এটিতে সুপারফুড হিসাবে ধরা হয়। এটি মসুর ডাল বা স্যুপের সঙ্গে খান। তাতে শরীরের নানা ধরনের উপকার হবে। (Unsplash)
4/10২। ডাল এবং দানাশস্য: এগুলিতে প্রচুর ফাইবার এবং ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। ডায়েটে ছোলা, কিডনি বিন, আলফালফা এবং বিনস অবশ্যই রাখুন। এগুলি রুটি বা ভাতের সঙ্গে খান। নিয়মিত ডাল খান। এতে শরীরে পুষ্টিগুণের অভাব হবে না। (Unsplash)
5/10৩। সামুদ্রিক মাছ: স্যামন জাতীয় মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে মায়ের শরীরের প্রচুর পুষ্টির দরকার হয়। তাছাড়া শরীর আগের জায়গায় নিয়ে যেতে এই জাতীয় মাছ খাওয়া ভালো। পাশাপাশি এটি স্তন্যের পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়া ডিম খেতে পারেন। এতে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং বি ১২, রাইবোফ্লাভিন এবং ফোলেট থাকে। এগুলিও একই ধরনের উপকার করে। (Unsplash)
6/10৪। পাশাপাশি মনে রাখবেন, যে সব মাছে পারদ থাকে, যেমন টুনা, হাঙর বা কিং ম্যাকেরেল জাতীয় মাছ খাবেন না। এগুলি শরীরের ক্ষতি করতে পারে এই সময়ে। (Unsplash)
7/10৫। দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ায় যার ফলে পেশি এবং হাড় মজবুত হয়। বুকের দুধের পরিমাণও বাড়াতে সাহায্য করে এগুলি। এছাড়া নারকেল জলের মতো পানীয় বা অন্য উদ্ভিজ্জ পানীয়গুলিও বুকের দুধের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, পাশাপাশি আপনার শরীর শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। (Unsplash)
8/10৬। অ্যালকোহল এবং কফি জাতীয় পানীয় এই সময়ে এড়িয়ে চলুন। কারণ মায়ের দুধের সঙ্গে এগুলি শিশুর শরীরে গেলে, সেখান থেকে সহজে বেরোতে চায় না। ফলে শিশুর সমস্যা হতে পারে। (Unsplash)
9/10৭। গোটা শস্য (যেমন চাল, গম, বাজরা) অত্যন্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এগুলি মায়ের শরীরে শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বুকের দুধ তৈরির জন্য হরমোন নিঃসরণেও সাহায্য করে এগুলি। (Unsplash)
10/10৮। শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা। এই সময়ে জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত ভাজাভুজি, বেশি মাত্রায় তেলের খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলি নানা ধরনের সমস্যায় ফেলতে পারে। (Unsplash)