1/6 জন্ম উত্তর কলকাতায়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটিকে আঁকড়ে ধরেছিলেন।আর সেখানেই ৮০ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। বাম রাজনীতিতে তিনি কার্যত আবেগের আরও এক নাম। বাংলায় বামেদের ৩৪ বছরের শাসনকালের ১১ বছর তিনি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জ্যোতি বসুর পর বাংলার শাসনের হাল ধরেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপর ২০১১র ভোটে নির্বাচনী হার, কিন্তু লড়াইয়ের হাল ছাড়েননি বুদ্ধদেব। হাল ছাড়তে দেননি দলকেও। তবে শারীরিক অসুস্থতার কাছে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েন বাংলার বাম রাজনীতির স্ট্রংম্যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
2/6 ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ তাঁর জন্ম হয় কলকাতায়। স্বাধীনতা ঘিরে তখন এক অগ্নিগর্ভ সময়। কলকাতার সমাদৃত এই ভট্টাচার্য পরিবারে আরও সদস্য বাঙালি কাছে আজও এক আবেগের নাম, তিনি সুকান্ত ভট্টাচার্য। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, সম্পর্কে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাকা হন। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দাদু কৃষ্ণচন্দ্র স্মৃতিতীর্থের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের মাদারিপুরে। দাদু কৃষ্ণমোহন সমাজে ব্রাহ্মণদের প্রভাব ধরে রাখতে সংকলন করেছিলেন,'পুরোহিত দর্পণ'। তাঁরই বংশধন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কৃষি, মজুরদের হয়ে অংশ নেন বহু আন্দোলনে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ডাক দেন রাজ্যে শিল্পায়নের। (HT PHOTO)
3/6 শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের পড়ুয়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাবা নেপালচন্দ্র ভট্টাচার্য পুরহিত হিসবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেননি। তিনি সারস্বত লাইব্রেরির দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাংলা নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক হিসাবে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে প্রাথমিক সদস্য হিসাবে CPI(M)-তে যোগদান করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে, তিনি ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন, সিপিআই(এম) এর যুব শাখা যা পরে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনে একীভূত হয়। . (PTI Photo) (PTI08_08_2024_000109B)
4/6 ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত কাশীপুর বেলগাছিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এই সময়কালে তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি কাশীপুর কেন্দ্র থেকে হেরে যান। ১৯৮৭ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। তবে ২০১১ সালে বাংলায় বাম সরকারের পতনের সময় তিনিও এই কেন্দ্র থেকে হেরে যান। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ছিলেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। পরে জ্যোতি বসুর প্রয়াণের পর ২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন। (PTI Photo) (PTI08_08_2024_000108B)
6/6 ১৯৬৮ সালে রাজনীতিতে পা রাখার সময় ভিয়েৎনামের ঘটনায় সরব হওয়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিল্প সংস্কৃতির প্রতিও ছিল বেশ কিছুটা টান। ধ্রুপদী চলচ্চিত্র থেকে নাটক, কবিতা, শিল্পকলার প্রতি ছিল তাঁর টান। এহেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ধীরে ধীরে শারীরিক দুর্বলতার শিকার হতে থাকেন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে। স্ত্রী মীরা ও মেয়ে সুচেতনা তাঁর পাশে আগাগোড়া ছিলেন। ২০২২ সালে তাঁকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করা হয়। যদিও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। দীর্ঘ অসুস্থতার পর শেষে ২০২৪ সালের ৮ অগস্ট প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। (PTI Photo) (PTI08_08_2024_000110B)