২০২৩ সালের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামী ৩১ তারিখ নয়া সংসদ ভবনে দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তারইমধ্যে নয়া সংসদ ভবনের ছবি সামনে এল।
1/5৩১ জানুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদের উভয় কক্ষের উদ্দেশে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখবেন। এর পরদিন, ১ ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে ২০২৩-২৪ সালের বাজেট পেশ করবেন। প্রথমার্ধের অধিবেশন ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
2/5নয়া সংসদ ভবন ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। শেষ সময়ের কিছু খুঁটিনাটি কাজ চলছে। নতুন সংসদ ভবনটি বর্তমান সংসদ ভবনের চেয়ে অনেকটাই বড়। টাটা প্রজেক্টসের তরফে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে ৬৪,৫০০ বর্গ মিটারের এই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই নয়া সংসদ ভবনে অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন সাংসদরা।
3/5সংসদের নতুন ভবনে একসঙ্গে ১,২২৪ জন সংসদ সদস্যের বসার সুবিধা রয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় ৮৮৮ জন সাংসদ এবং রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন একসঙ্গে। নতুন ভবনে কোনও সেন্ট্রাল হল থাকবে না। উভয় কক্ষের সাংসদরা কেবল লোকসভা হলে বসে যৌথ অধিবেশনে অংশ নেবেন। ৩১ জানুয়ারি সেই মতো নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা হলেই যৌথ অধিবেশনের উদ্দেশে বক্তৃতা রাখবেন রাষ্ট্রপতি।
4/5প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস করেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। সংসদের নতুন ভবনে লাউঞ্জ, লাইব্রেরি, কমিটি হল, ক্যান্টিন ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নতুন চারতলা সংসদ ভবনের পুরো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে আনুমানিক ৯৭১ কোটি টাকা খরচ হবে। অবশ্য কোভিডকালে এই সংসদ ভবনের কাজ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে অবশেষে এই নয়া সংসদ ভবনে মোদী সরকার ২.০-র শেষ পূর্ণ বাজেট পেশ হতে চলেছে।
5/5এদিকে গত বছর জুলাই মাসেই নতুন সংসদ ভবনের মাথায় জাতীয় প্রতীকের আবরণ উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৯,৫০০ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের অশোক স্তম্ভটি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীদের দাবি, ৬.৫ মিটারের উঁচু এই অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি সারনাথের সিংহের থেকে পুরোপুরি আলাদা। এই নিয়েও আদালতে মামলা হয়েছিল। তবে আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল।