রাজ্যের ২১ টি জেলার প্রায় ১৫ হাজার সরকারি কর্মীর ক... more
রাজ্যের ২১ টি জেলার প্রায় ১৫ হাজার সরকারি কর্মীর কাছে এখনও পর্যন্ত শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন ১০ মার্চ ডিএ ধর্মঘটের দিন তাঁরা কাজে আসেননি। উল্লেখ্য, সিংহভাগ স্কুলের শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীকেই নাকি এই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন বিভাগের কয়েক লাখ সরকারি কর্মী সেদিন ধর্মঘটে শামিল ছিলেন। এই আবহে উঠছে বৈষ্যের অভিযোগ।
1/5যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে বৈষম্যমূলক ভাবে শোকজ নোটিশ পাঠানোর ইস্যুতে আলাদতে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অভিযোগ, পৌরসভা, আদালত সহ সরকারের সর্বস্তরের কর্মীরা ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিলেও শিক্ষকদেরই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কারণ, ডিএ আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষকরাই। প্রসঙ্গত, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ নিজেও শিক্ষক। এই আবহে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে যৌথ মঞ্চ। (PTI)
2/5এদিকে শোকজের জবাব দেওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শোকজের জবাব সরাসরি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে পাঠাতে হবে ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত শিক্ষকদের। ডিএ ধর্মঘট শোকজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা গিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছেও। তাঁদের বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে যাতে স্কুলগুলিকে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদের নির্দেশ, শিক্ষকরা যেন কোনওভাবে শোকজ নোটিশের জবাব পর্ষদের। পর্ষদের প্রয়োজন পড়লে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছ থেকে সেই রিপোর্ট চেয়ে নেওয়া হবে। (PTI)
3/5এদিকে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে। (PTI)
4/5প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ জেলায় জেলায় ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। এদিকে ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা 'ধর্মঘটের অধিকার' আছে। (PTI)
5/5উল্লেখ্য, আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, রাজ্যের বর্তমান পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআরএ-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন। (PTI)