কেন্দ্রীয় সাহায্য প্রাপ্ত একাধিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এর জেরে টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে এর ব্যতিক্রম সড়ক পরিকাঠামো খাত। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেখানে রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, সেখানে সড়ক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ছে বাংলার।
1/5সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার রাজনৈতিক মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তাঁর বাংলা দখলের নেপথ্যে সেই জমি আন্দোলনের ভূমিকা অপরিসীম। এই আবহে ক্ষমতায় আসার পর জমি নীতির কারণেই বাংলায় শিল্প আনতে বেগ পেতে হচ্ছিল তৃণমূল সরকারকে। পরিকাঠামো থমকে থাকছিল। তবে গত একদশকে পরিস্থিতি বদলেছে। আর তাই মমতার সরকারের পূর্ত দফতরকে 'ভরসা' করছে কেন্দ্র।
2/5এবছর রাজ্যের ২৯টি জাতীয় সড়কের প্রায় ১৬৪০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি এবং সম্প্রসারণের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের পূর্ত বিভাগের ওপর। এই কাজের জন্য আর্থিক বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। এবং বরাদ্দের পরিমাণ ২৩০৬ কোটি। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেও যে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫৩ কোটি টাকা। এদিকে শুধুমাত্র জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবছর রাজ্য পাচ্ছে ১৬০ কোটি। আগের বছরই এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৭০ কোটি। এছাড়াও এনএইচএআই-এর থেকে কয়েক হাজার কোটি পাবে রাজ্য।
3/5জানা গিয়েছে, জমির সংস্থান হওয়ার ফলেই বরাদ্দে এই লাফ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বারাণসী-কলকাতা করিডর নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সঙ্গে ৬ নং জাতীয় সড়ককে জুড়ে দেওয়া ৬.৮ কিমি দীর্ঘ উড়ালপথ বা ‘এলিভেটেড করিডরে’র নির্মাণ কাজও শুরুর মুখে।
4/5জানা গিয়েছে, বিগত অর্থবর্ষে শিলিগুড়ির উড়ালপথ নির্মাণে ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে। রানিগঞ্জ, দুবরাজপুর, রামনগর-বালিসাই বাইপাসের কাজের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং ও সিকিম যাওয়ার পাহাড়ি জাতীয় সড়কে কাজ করেছে পূর্ব বিভাগ। বাংলার পূর্ত দফতরের কাজের প্রশংসা করেছে সিকিম হাই কোর্ট।
5/5এদিকে বারাণসী হয়ে দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে একটি মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, মাত্র ১৭ ঘণ্টাতেই কলকাতা-দিল্লি যাতায়াত করা যাবে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই সবুজ সংকেত পেয়েছিল এই প্রকল্প। এরপর স্থানীয় প্রশাসন জেলায় জেলায় এই প্রকল্পের জন্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয় মানুষদের রাজি করানোর কাজে লেগে যান। জোর করে কারও থেকেই জমি নেওয়া হচ্ছে না। সবাইকে বুঝিয়েই জমি নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রকের সঙ্গে বাংলার পূর্ব দফতরের কর্মীদের সমন্বয়ের কারণেই বাংলার বরাদ্দ বাড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।