বাংলা নিউজ > ছবিঘর > Chandrayaan 3 Sulphur Find insight: সালফারেই লুকিয়ে যাবতীয় রহস্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এক একটা পাতা ওলটাচ্ছে প্রজ্ঞান

Chandrayaan 3 Sulphur Find insight: সালফারেই লুকিয়ে যাবতীয় রহস্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এক একটা পাতা ওলটাচ্ছে প্রজ্ঞান

Updated: 31 Aug 2023, 03:09 PM IST Abhijit Chowdhury

সালফারেই লুকিয়ে থাকতে পারে চাঁদে জল থাকার সম্ভাবনার রহস্য। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অক্সিজেন থাকার সম্ভাবনার কথা এর আগে ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ জানিয়েছিল। চন্দ্রযান ৩ তা এবার নিশ্চিত করেছে। তবে সালফারের খোঁজ পাওয়ার আশা করছিল না ইসরো। কেন এই খোঁজ উল্লেখযোগ্য?

1/5চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অক্সিজেন থাকবে, সেটা আগে থেকেই ধারণা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের। কারণ চন্দ্রযান ১-এর তরফে সেটা জানানো হয়েছিল। তবে চাঁদের মাটিতে সালফারের খোঁজের আশা করেনি ইসরো। এই আবহে ইসরোর প্রশ্ন, এই সালফার কোথা থেকে এসেছে? তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভাবতে হবে বলেও মত ইসরোর। উল্লেখ্য, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত বা উল্কাপাত থেকে আসতে পারে সালফার।   (PTI)
2/5উল্লেখ্য, এর আগের বার ভিন্ন পদ্ধতিতে সালফার শনাক্ত করেছিল চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। আর এবারে প্রজ্ঞানে থাকা 'আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেক্ট্রোস্কোপ' পেলোড শনাক্ত করেছে সালফার। চাঁদের মাটিতে সালফার থাকা মানে জল থেকে তৈরি হওয়া বরফ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই আবহে চাঁদে সালফারের উপস্থিতির বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য অনেকটাই।  (PTI)
3/5এর আগে ইসরোর তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়, চাঁদের মাটিতে সালফার, অক্সিজেন, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন শনাক্ত করেছে প্রজ্ঞানে থাকা 'এলআইবিএস' (লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি) যন্ত্র। চাঁদে আপাতত হাইড্রোজেনের খোঁজ করছে চন্দ্রযান ৩-এর এই রোভার।   (PTI)
4/5সেদিন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, লেসার পালসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি। এই প্রক্রিয়ায় খুব উচ্চ শক্তির লেজার পালস মাটি বা কোনও পাথরের ওপর ফেলা হয়। সেই লেজার পালসের ফলে মাটি বা পাথরের সেই অংশ থেকে প্লাজমা বেরিয়ে আসে। তারপর সেই প্লাজমা সংগ্রহ করে তা 'চার্জ কাপলড ডিভাইস'-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই যন্ত্রে প্রতিটি যৌগ পদার্থের ওয়েভলেংথ সেট করা আছে আগের থেকেই। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বোঝা যায় যে কী পদার্থ জমির সেই অংশে রয়েছে।    (PTI)
5/5এদিকে 'চন্দ্র সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' পেলোড চাঁদের মাটির তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে এবং সময়ের সঙ্গে পারদের ওঠানামার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। দেখা গিয়েছে, যতই চাঁদের মাটির গভীরে যাওয়া হচ্ছে, তত তাপমাত্রা কমছে। আর মাটির ওপরে তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। এই নিয়ে একটি গ্রাফও প্রকাশ করে ইসরো। তাতে দেখা যায়, চাঁদের মাটির ৮০ মিলিমিটার নীচের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি। আর মটির ২০ মিটার ওপরে তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।    (PTI)