বাংলা নিউজ > ছবিঘর > Chandrayaan 3 Update by ISRO: 'রান্না টেস্ট করার মতো', চাঁদে সালফার-অক্সিজেন পাওয়ার গুরুত্ব বোঝালেন ইসরোর বিজ্ঞানী

Chandrayaan 3 Update by ISRO: 'রান্না টেস্ট করার মতো', চাঁদে সালফার-অক্সিজেন পাওয়ার গুরুত্ব বোঝালেন ইসরোর বিজ্ঞানী

Updated: 30 Aug 2023, 01:40 PM IST Abhijit Chowdhury

গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চাঁদের মাটিতে গুটি গুটি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান। আর এরই মধ্যে সামনে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। চাঁদের মাটিতে সালফার, অক্সিজেন, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন শনাক্ত করেছে প্রজ্ঞান। তবে এই খোঁজের গুরুত্ব কতটা?

1/4ইসরোর তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়, চাঁদের মাটিতে সালফার, অক্সিজেন, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন শনাক্ত করেছে প্রজ্ঞানে থাকা 'এলআইবিএস' (লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি) যন্ত্র। চাঁদে আপাতত হাইড্রোজেনের খোঁজ করছে চন্দ্রযান ৩-এর এই রোভার। অবশ্য চাঁদে যে অক্সিজেন আছে, তা চন্দ্রযান ১ জানিয়ে দিয়েছিল। চন্দ্রযান ৩-এর রোভার তা নিশ্চিত করল।  
2/4এই খোঁজের গুরুত্ব কতটা? এই নিয়ে বলতে গিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানী টিভি বেঙ্কটেশ্বরন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, 'আমরা অনেক সময়ই দূর থেকে দেখে বুঝতে পারি যে সবজি রান্না হয়েছে কি না। তবে তাও নিশ্চিত হতে আমরা এক চামচ তুলে নিয়ে টেস্ট করে থাকি। এটাও ঠিক তেমন। এর আগে রিমোট সেন্সিংয়ে যে ডেটা মিলেছে তার সঙ্গে আসল তথ্য মেলে কি না, তা জানতে চাঁদে অবতরণ প্রয়োজন ছিল। এটা এক হওয়ায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।' 
3/4এর আগে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, লেসার পালসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি। এই প্রক্রিয়ায় খুব উচ্চ শক্তির লেজার পালস মাটি বা কোনও পাথরের ওপর ফেলা হয়। সেই লেজার পালসের ফলে মাটি বা পাথরের সেই অংশ থেকে প্লাজমা বেরিয়ে আসে। তারপর সেই প্লাজমা সংগ্রহ করে তা 'চার্জ কাপলড ডিভাইস'-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই যন্ত্রে প্রতিটি যৌগ পদার্থের ওয়েভলেংথ সেট করা আছে আগের থেকেই। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বোঝা যায় যে কী পদার্থ জমির সেই অংশে রয়েছে।   
4/4প্রজ্ঞান রোভারে থাকা 'চন্দ্র সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' পেলোড চাঁদের মাটির তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে এবং সময়ের সঙ্গে পারদের ওঠানামার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। দেখা গিয়েছে, যতই চাঁদের মাটির গভীরে যাওয়া হচ্ছে, তত তাপমাত্রা কমছে। আর মাটির ওপরে তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। এই নিয়ে একটি গ্রাফও প্রকাশ করে ইসরো। তাতে দেখা যায়, চাঁদের মাটির ৮০ মিলিমিটার নীচের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি। আর মটির ২০ মিটার ওপরে তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।