বাংলা নিউজ > ছবিঘর > Chandrayan 3 in-situ measurements: চাঁদের মাটিতে মিলেছে সালফার, টাইটেনিয়াম, অক্সিজেন! কীভাবে এসব খুঁজছে প্রজ্ঞান?

Chandrayan 3 in-situ measurements: চাঁদের মাটিতে মিলেছে সালফার, টাইটেনিয়াম, অক্সিজেন! কীভাবে এসব খুঁজছে প্রজ্ঞান?

Updated: 30 Aug 2023, 07:14 AM IST Abhijit Chowdhury

চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞানে থাকা 'লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি' পেলোড সম্প্রতি সালফারের খোঁজ পেয়েছে চাঁদের মাটিতে। তাছাড়াও প্রত্যাশা মতো মিলেছে অক্সিজেন, টাইটানিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো পদার্থ। তবে কীভাবে চাঁদের মাটিতে এই পদার্থগুলিকে চিহ্নিত করছে প্রজ্ঞান?

1/5ইসরোর তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়, চাঁদের মাটিতে সালফার, অক্সিজেন, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন শনাক্ত করেছে প্রজ্ঞানে থাকা 'এলআইবিএস' (লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি) যন্ত্র। চাঁদে আপাতত হাইড্রোজেনের খোঁজ করছে চন্দ্রযান ৩-এর এই রোভার। তবে কীভাবে কাজ করে এই এলআইবিএস যন্ত্র? কী এর কার্য পদ্ধতি? 
2/5একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, লেসার পালসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি। এই প্রক্রিয়ায় খুব উচ্চ শক্তির লেজার পালস মাটি বা কোনও পাথরের ওপর ফেলা হয়। সেই লেজার পালসের ফলে মাটি বা পাথরের সেই অংশ থেকে প্লাজমা বেরিয়ে আসে। তারপর সেই প্লাজমা সংগ্রহ করে তা 'চার্জ কাপলড ডিভাইস'-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই যন্ত্রে প্রতিটি যৌগ পদার্থের ওয়েভলেংথ সেট করা আছে আগের থেকেই। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বোঝা যায় যে কী পদার্থ জমির সেই অংশে রয়েছে।  
3/5প্রজ্ঞান রোভারে থাকা 'চন্দ্র সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' পেলোড চাঁদের মাটির তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে এবং সময়ের সঙ্গে পারদের ওঠানামার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। দেখা গিয়েছে, যতই চাঁদের মাটির গভীরে যাওয়া হচ্ছে, তত তাপমাত্রা কমছে। আর মাটির ওপরে তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। এই নিয়ে একটি গ্রাফও প্রকাশ করে ইসরো। তাতে দেখা যায়, চাঁদের মাটির ৮০ মিলিমিটার নীচের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি। আর মটির ২০ মিটার ওপরে তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  
4/5উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের এক সপ্তাহ হয়েছে। এই আবহে গত সোমবার ইসরো জানায়, চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান যাত্রাপথে এক বড় গর্তের সামনে পড়েছিল। এর জেরে অনেকটা ঘুরে ফের পথ চলা শুরু করেছে প্রজ্ঞান। এই আবহে সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াচ্ছে প্রজ্ঞান। যদিও আক্ষরিক অর্থে প্রজ্ঞান দৌড়তে পারে না। কারণ এটি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতিতো এগোয়।  
5/5চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামতে বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। এই আবহে এই বাকি ক'দিনে যতটা সম্ভব এলাকায় প্রজ্ঞানকে ঘুরিয়ে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই মিশন মাত্র ১৪ দিনের জন্যই স্থায়ী থাকার কথা। কারণ একবার দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামলে প্রজ্ঞান 'ঘুমিয়ে' পড়বে। উল্লেখ্য, প্রজ্ঞন সৌরশক্তি চালিত একটি যান। তাই অন্ধকার নামলে এটি আর কাজ করতে পারবে না।