নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো চিংড়িঘাটা মোড়ের উপর দিয়ে যাবে। কিন্তু সেই মেট্রো দৌড়ানোর জন্য যে স্তম্ভ তৈরি করত, তা নিয়ে দীর্ঘদিন জট ছিল। অবশেষে বুধবার ছাড়পত্র পেয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেজন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
1/5মেট্রো সূত্রে খবর, চিংড়িঘাটা মোড়ে ৩১৮ নম্বর স্তম্ভ নির্মাণের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে অসংখ্যবার বৈঠক করা হয়েছে। শহরের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তায় কীভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা খতিয়ে দেখতে ২০২১ সাল থেকে দু'বার ট্রায়াল হয়েছে। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে তৃতীয় ট্রায়াল। তারপর বুধবার চিংড়িঘাটা মোড় পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারপরই স্তম্ভ নির্মাণের ছাড়পত্র পেয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মেট্রো)
2/5মেট্রোর স্তম্ভ তৈরি করতে চিংড়িঘাটা মোড়ের একাংশ (৬৪ বর্গমিটার) ঘিরে দেবে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। উত্তর-দক্ষিণমুখী রাস্তার মাঝ বরাবর সেই স্তম্ভ তৈরি করা হবে। সেজন্য সেই রাস্তার দু'প্রান্ত ইতিমধ্যে চওড়া করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ফুটপাতও। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মেট্রো)
3/5পুলিশ সূত্রে খবর, চাউলপট্টি রোড এবং ক্যানাল সাউথ রোড একমুখী করা হবে। যে দুটি রোড চিংড়িঘাটা মোড়কে সংযুক্ত করেছে। ট্যাংরামুখী গাড়িগুলি ক্যানাল সাউথ রোড দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। আবার চাউলপট্টি রোড হয়ে চিংড়িঘাটামুখী গাড়িগুলি ঘুরিয়ে দেবে কলকাতা পুলিশ। সেইসঙ্গে চিংড়িঘাটা মোড়ে যাতে যানজট না হয়, সেজন্য বিশেষ সিগন্যালিং প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মেট্রো)
4/5কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্যানাল সাউথ রোডের যেখানে রাস্তা পারাপার করা যায়, সেটা আরও উত্তর দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এখন যেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার করা হয়, সেটা মেট্রোর কাজের জন্য ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। বেলেঘাটার দিক থেকে সল্টলেকের অভিমুখে যাওয়ার জন্য পথচারী এবং সাইকেল-আরোহীদের কিছুটা ফুটপাত ব্যবহার করে হবে। তারপর রাস্তা পারাপারের জায়গায় পৌঁছাবেন। সুকান্তনগরের দিকে ফুটপাতে উঠে যাবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মেট্রো)
5/5তবে কতদিনের জন্য চিংড়িঘাটা মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। মেট্রো সূত্রে খবর, ওই স্তম্ভ নির্মাণের জন্য ৪৫ দিন মতো লাগবে। তবে ৩০ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষ করতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারণ আগামী সেইসময় স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলবে। ফলে গাড়ির চাপ কিছুটা কম থাকবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মেট্রো)