ছাপা নোট বা ধাতব মুদ্রা নাড়াচাড়া করলে সরাসরি জীব... more
ছাপা নোট বা ধাতব মুদ্রা নাড়াচাড়া করলে সরাসরি জীবাণুর সংস্পর্শে আসে হাতের আঙুল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতির মাঝে বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছে অনেককেই। আশঙ্কার সপক্ষে প্রমাণও রয়েছে অজস্র।
1/6করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জোর দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত হাত ধোওয়ার উপরে। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার্ষ যে সমস্ত জিনিস আমরা স্পর্শ করি, তার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সহজ নয়। এমনই এক নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী টাকার নোট, যার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণ।
2/6২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছিল যে, মহারাষ্ট্রের বুলদানার একাধিক প্রান্ত থেকে সংগৃহীত ১০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকার প্রতিটি নোটে কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।
3/6অন্য একটি গবেষণায় বিভিন্ন অঙ্কের ৯৬টি নোট এবং ৪৮টি কয়েন পরীক্ষা করে তাদের মধ্যে নানান রোগের উৎস একাধিক প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ও পরজীবীর সন্ধান মিলেছে। ২০১৫ সালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। গবেষণা পরিচালনা করে লখনউয়ের কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি ও পালমোনারি মেডিসিন বিভাগ।
4/6শুধু ভারতেই নয়, আমেরিকার ডলার নোটে ৩ হাজার প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া খুঁজে পেয়েছিলেন নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণা ২০১৪ সালে সম্পূর্ণ হয়।
5/6বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতি ছড়ানোর জেরে কয়েক দিন আগে এশিয়া থেকে ঘুরে আসা ডলার নোট কোয়্যারান্টাইন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকার ফেডেরাল রিজার্ভ। রয়টার্স জানিয়েছে, আমেরিকায় ফের ওই নোট চালু করার আগে সেগুলিকে যথাযথ পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
6/6মুদ্রানোটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) যথাসম্ভব ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছে গ্রাহকদের। উপায় না থাকলে, ছাপা নোট ব্যবহার করা পরে ভালো করে হাত দেওয়ার নিদান দিয়েছে ‘হু’।