গতরাতে আরও শক্তি বাড়িয়ে অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোখা। অবশ্য আগেই হাওয়া অফিস আভাস দিয়েছিল যে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ আরও বাড়বে। সেই মতো শুক্রবার রাতেই এটি আরও শক্তিশালী হয়ে গেল। আগামিকাল দুপুরেই এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল।
1/5শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা রাত সাড়ে ১১টার সময় পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরের এর উপর শক্তি বাড়িয়ে 'অতি শক্তিশালী' ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি ১৫.১° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছে অবস্থিত। মায়ানমারের সিটওয়ে থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে ১৪ মে দুপুরে। (HT_PRINT)
2/5ল্যান্ডফলের সময় অবশ্য ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তি ক্ষয় করে ফের 'শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে' পরিণত হবে। আগামিকাল দুপুর নাগার এই ঘূর্ণিঝড় কক্সবাজার এবং কিয়াউকপিউর ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। রবিবার ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার বেগে এই ঝড় বয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। (HT_PRINT)
3/5ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় সাড়ে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। (HT_PRINT)
4/5এই আবহে জানা যাচ্ছে, শত শত মানুষকে আপাতত উপকূল থেকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাচ্ছে মায়ানমার ও বাংলদেশের প্রশাসন। মোখার জেরে আপাতত ৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছে ওপার বাংলার হাসিনা সরকার। বাংলাদেশে অন্তত ৫৭৬ টি সাইক্লোন-ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে এর জন্য। আজ থেকেই এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে সাধারণ মানুষদের। (HT_PRINT)
5/5হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মোখার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে মায়ানমারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন বাংলাদেশের একাধিক জায়গাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪০ কিমি। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ, মহেশখালিতে এই ঝড়ের বিস্তর প্রভাব পড়তে পারে। (HT_PRINT)