ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রবিন্দু থেকে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ গড়ে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কাছাকাছি থাকবে। তাই সুপার সাইক্লোন না হলেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে ভারতেও।
1/5ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার দূরত্ব ছিল ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে। কক্সবাজার থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে ছিল ঘূর্ণিঝড়টি।
2/5এদিকে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার সামনের অংশ স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। মোখার প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ইতিমধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অপরদিকে মোখার জেরে আজও উত্তাল থাকবে উত্তর আন্দামান সাগর। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র অত্যন্ত উত্তাল থাকবে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
3/5আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এরপর আজ দুপুর ১২টা নাগাদ বা বিকেলে পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। মোখার ‘ছোখ’ বা কেন্দ্রবিন্দু আজ দুপুরেই স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। ল্যান্ডফলের সময় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যেতে পারে ২১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
4/5এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রভাব পড়বে না ঝড়ের। শুধুমাত্র উপকূলবর্তী তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি কোনও জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে মোখা অনেক দূরে আছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যে। এছাড়া উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আজ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ১৭ তারিথ পর্যন্ত মাঝারি থেক ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে।
5/5রবিবার ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং দক্ষিণ অসমের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরে বাড়িঘরের সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মাঠের ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমডি জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।