গতকাল বিকেলেই বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই আবহে গতকাল প্রায় মধ্যরাতে একটি টুইট করে এই সিস্টেমটার সর্বশেষ আপডেট জানায় আইএমডি। হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ জানিয়েছে। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নিয়েও জানাল আইএমডি।
1/5গতকাল বিকেলে সৃষ্টি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। এরপরও আপাতত বঙ্গোপসাগরের প্রায় একই স্থানে অবস্থান করছে সেই সিস্টেমটি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার সময় এই সিস্টেমটির অবস্থান ছিল পোর্ট ব্লেয়ারের থেকে পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫১০ কিমি। আজ সন্ধ্যায় এই একই স্থানে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
2/5এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে এগিয়ে যাবে মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে। এরপর অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলের সমান্তরালে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে। মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগর হয়ে সেটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। এরপর ১৪ মে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
3/5এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতি ১৬০ কিমি পর্যন্ত ছুঁতে চলেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজই বঙ্গোপসাগরের ওপর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় ১০০ কিমির বেশি জোরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এরপর আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছুঁতে চলেছে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
4/5১১ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১২ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ঊপকূলের আরও কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এর হালকা প্রভাব পড়তে পারে সেদিন। এদিকে ১১ এবং ১২ তারিখ মায়ানমারের পশ্চিম উপকূলে এই সিস্টেমের সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে।
5/5১৩ তারিখ পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ১২ এবং ১৩ তারিখ দক্ষিণের কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে ১৩ তারিখ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ঘেঁষে তাণ্ডব চালাতে পারে মোখা। সেদিন বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ উপকূলেও বিস্তর প্রভব ফেলবে এই ঘূর্ণিঝড়। ১৪ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে। তখন ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে চলে যাবে।