পশ্চিমবঙ্গে খুব সম্ভবত আঘাত হানবে না ঘূর্ণিঝড় মোখা। বদলে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে জারি থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। এরই মাধ্যে আজ নবান্ন থেকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যবাসীকে অভয় প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানান, বাংলার দিকে যদি ঘূর্ণিঝড় আসেও, তাহলেও তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত তাঁর সরকার।
1/7আজ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ঘূর্ণিঝড়ের আবহে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে আগেভাগেই ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছে বলেও জানান মমতা। তিনি জানান, ২৫ লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলাশাসকের কাছে। তবে আইএমডির পূর্বাভাসকে উদ্ধৃত করে মমতা জানান, এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে।
2/7মমতা অবশ্য দাবি করেন যে ১০ এই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব বাংলায় পড়তে পারে। যদিও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস এর পুরোপুরি বিপরীত। তবে মমতা জানান, ঘূর্ণিঝড় এলে যাতে ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়, তার জন্য সুন্দরবন এবং দিঘায় প্রশাসনকে তৎপর থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
3/7এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দক্ষিণে আন্দামান সমুদ্রে আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে একটা নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আন্দামানে হলে যেহেতু আন্দামান বাংলার পাশেই, তাই ৯-১০ তারিখ একটু ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।' তবে বাংলায় আগামী অন্তত ১২ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
4/7তবে বঙ্গবাসীকে অভয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা আপাতত একটা নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে সাগরে। ভয় বা আতঙ্কেক কোনও কারণ নেই। সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। আগের ঘূর্ণিঝড়গুলো যেভাবে সামলেছি, এটা এলে সেটাও সেভাবেই সামলাব।' তিনি আরও দাবি করেন, 'যদি কোনও ঝড় হয় তাহলে প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে দেবে।'
5/7উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছিল দু'দিন আগে। আজ সেই একই স্থানে এই ঘূর্ণাবর্তটি পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে। এর প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবরে দুর্যোগ নামতে চলেছে। বর্তমানে কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই নিম্নচাপটি। এই সপ্তাহেই এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন।
6/7হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলে। আজ, ৮ তারিখ সকালের দিকে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এরপরে ৯ তারিখ সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে। ৯ তারিখের পর এই নিম্নচাপ উত্তর দিকে এগোতে থাকবে। তারপর মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে ১০ তারিখ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
7/7১০ তারিখ ঘূর্ণিঝড়টি এগোতে শুরু করবে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ছেড়ে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ মে পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। এরপর এটি ধীরে ধীরে ফিরে এসে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে।