কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ডিএ দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। এই আবহে এবার ডিএ আন্দোলনের ১০০তম দিনে সরকারি কর্মীরা চরম হুঁশিয়ারি দিল সরকারকে। পাশাপাশি আজ মিছিল শেষে একটি বড় ঘোষণাও করা হতে পারে সরকারি কর্মীদের তরফে।
1/5সরকারি কর্মীদের সংগঠনের দাবি, যদি ডিএ-র দাবি না মানা হয়, তাহলে এই আন্দোলনের পরিসর আরও বৃহত্তর পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এদিকে সরকারকে তোপ দেগে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, আমাদের মতো সরকারি কর্মীদের সাহায্যেই বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা এবং পরিষেবা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এই আবহে আমরা এবার সরকার পক্ষের দুয়ারে আন্দোলন পৌঁছে দেব।
2/5প্রসঙ্গত, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আজকের মিছিল থেকে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছ নিয়োগ সহ মোট ৪ দফা দাবি জানানো হবে। যদিও এর আগে সরকার বারবার জানিয়েছে, যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমহারে ডিএ দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা তাদের নেই। তবে তাতে দমতে নারাজ সরকারি কর্মীরা। সরকারকে কোণঠাসা করতে তাই আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ছক কষছেন তারা।
3/5প্রসঙ্গত, আজ শহিদ মিনারের অবস্থান বিক্ষোভের ১০০তম দিন। এই আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কলকাতায় বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে আজকের মিছিল শেষে একটি বড় ঘোষণাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগেই এর আভাস দিয়েছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
4/5উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়েছে ডিএ মামলার। হাই কোর্টের নির্দেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছে। এই আবহে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই আবহে ডিএ-র পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে স্বচ্ছ এবং স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানানো হবে আজকের মিছিল থেকে। তাছাড়া আগামীর আন্দোলন নিয়ে করা হতে পারে বড় ঘোষণা।
5/5জানা গিয়েছে, আজকের মহামিছিলের পর ডিএ ধর্মঘটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। এই নিয়ে আগেই আভাস দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। এর আগে গতমাসেই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সরকারের উচ্চ পদস্থ আমলারা। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, ডিএ-র সমস্যা তাতে মেটেনি। বৈঠক নিষ্ফল। এরপরই চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা।