ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের ইতিমধ্যেই শো... more
ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে সরকার। আর এবার সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে আসায় ১০ সরকারি কর্মীকে বদলি করা হয়েছে। যদিও সরকারি কর্মীদের যেকোমও সময় বদলি হতে পারে। তবে এই নিয়ে সরকারের 'প্রতিহিংসা পরায়ণ' মনোভাব দেখতে পাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
1/5ডিএ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, কোনও সরকারি কর্মীকে অর্থ দফতর থেকে বিডিও অফিসে বদলি করা হয়েছে। কাউকে বিডিও অফিস থেকে বন দফতরে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁরা আগামিদিনেও ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। তাঁদের যত দূরেই বদলি করা হোক না কেন, তাঁরা ফের আন্দোলনে যোগ দেবেন। (Sudipta Banerjee)
2/5এদিকে ডিএ আন্দোলনের মাঝে সম্প্রতি নবান্নে একাধিক দফতরে গিয়ে সরকারি কর্মীদের কাজকর্ম দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কখনও এমনটা করতে দেখা যায়নি মমতাকে। তবে বিভিন্ন দফতরে গিয়ে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে সরকারি দফতরে কর্মীদরে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। আর এই আবহে নোটিশ জারি করে নবান্নর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সওয়া দশটার মধ্যেই অফিসে পৌঁছে যেতে হবে। (Sudipta Banerjee)
3/5নির্দেশিকায় নবান্নর তরফে জানানো হয়েছে, সকাল সওয়া দশটার মধ্যে কর্মীরা যদি অফিসে না আসতে পারেন, তাহলে তাঁকে 'লেট' হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এরকম তিনদিন 'লেট' হলে একটি ক্যাজুয়াল লিভ কাটা যাবে। তাই সরাসরি বেতন কাটা না হলেও, সরকারি কর্মীদের জন্য এই নয়া নিয়ম বেশ অস্বস্তির। (Sudipta Banerjee)
4/5জানা গিয়েছে, এবার থেকে সব সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করা হবে। মুখের ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে অফিসে 'লগ ইন', 'লগ আউট' করতে হবে। সরকারি কর্মীরা এর ফলে যখন তখন অফিসে আসতে পারবেন না বা অফিস ছেড়ে যেতে পারবেন না। তবে, নবান্নে আটবছর আগেই বায়োমেট্রির মেশিন বসানো হয়েছিল। তবে তা এতদিন অচল অবস্থায় পড়েছিল। (Sudipta Banerjee)
5/5এর আগে গত ১৬ মার্চ আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নর ১৪ তলায় যাওয়ার আগে ১২ তলায় লিফট থেকে নেমে পড়েন। এর আগে ১৫ মার্চ পাঁচতলায় গিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাজ কর্ম দেখেছিলেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ তারিখের সেই 'সাপ্রাইজ ভিজিটে'র সময় নাকি মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেছিলেন, '১০ মার্চ কারা কারা আসেননি অফিসে?' গত ১৫ তারিখ দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ নবান্নের পাঁচ তলায় ৪০৩ নম্বর রুমে ও ৪০৪ নম্বর রুমে যান মমতা। সেখানে গিয়ে জানতে চান ১০ তারিখ কারা কারা কাজে আসেননি। প্রসঙ্গত, মমতা যখন সেখানে ছিলেন, তখন স্বরাষ্ট্র দফতরে হাজিরা ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। (Sudipta Banerjee)