এককালে বাম সরকারকে চাপে ফেলতে অনশনে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ২৬ দিনের সেই অনশনের 'মহিমা' অপরিসীম। সেই পথে হেঁটেই বিগত দিনে অনশনে বসেছেন বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মী। আর আজ থেকে রাজ্যজুড়ে গণ অনশন শুরু করলেন সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনারে অনশনে যোগ দিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও।
1/5শনিবার সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের ৫১তম দিন। এদিকে ভাস্কর ঘোষদের অনশন চলছে ৩৭ দিন ধরে। এই আবহে সরকারি কর্মীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আজ ডিএ-র ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান নওশাদ। সকাল ৬টা থেকে তিনিও সরকারি কর্মীদরে সঙ্গে অনশনে বসেন। এদিকে অনশনে বসার আগে নওশাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এর আগেও ধরনামঞ্চে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গিয়েছেন। তবে এভাবে একজন বিধায়কের অনশনে যোগ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
2/5নওশাদ আজ বলেন, 'আমি আগেই এসে বলে গিয়েছিলাম একদিন অনশনে যোগ দেব। সেই মতো আজ অনশন করছি। সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা থাকব। সরকারের উচিত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে একটা টেবিলে আলোচনায় বসা ও সমাধান সূত্র বের করা। কিছু চাওয়া হলেই সরকার বলছে টাকা নেই। অথচ খেলা-মেলা করে প্রচুর টাকা অপাত্রে দান করা হয়েছে।'
3/5নওশাদ সিদ্দিকি এদিন সরাসরি সরকারকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দাবি যদি এখন মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে মঞ্চের বাইরে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে আন্দোলনের রেশ। এটা শুধু সরকারি কর্মীদের সমস্যা নয়, এটা অনেক বৃহত্তর সমস্যা।' এদিকে জানা গিয়েছে, শুধু নওশাদ নয়, আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন এদিন।
4/5উল্লেখ্য, শনিবার গণ অনশনের আহ্বান জানানো হয়েছে যৌথ মঞ্চের তরফে। এই আবহে আজ সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় গণ অনশন কর্মসূচি। এদিকে আজ থেকে শুরু হবে সরাকরি কর্মীদের ডিজিটাল অসহযোগিতা কর্মসূচিও। আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না।
5/5ডিজিটাল স্ট্রাইক নিয়ে সরকারি কর্মীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও নিজের পয়সায় ডেটা খরচ করে আর কোনও সরকারি কাজ করবেন না তাঁরা। ঊর্ধ্বতন কর্তার কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিশিয়াল মেল মারফত জানাতে হবে কর্মীদের। তাছাড়া সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা।