ডিএ আন্দোলনকারীদের ঠেকানোর জন্য সম্প্রতি জোড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। এবার সরকারের সেই নির্দেশিকা সরাসরি অমান্য করলেন কর্মীরা। এর আগে গত রবিবারও নির্দেশিকার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
1/6উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সরকারের তরফে দু'টি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, মধ্যাহ্নভোজের সময় খাওয়া দাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও কাজ করা যাবে না এবং আন্দোলনের জন্য ছুটি নেওয়া যাবে না। তাছাড়া টিফিন বিরতির সময়েও অফিসের বাইরে যাওয়া যাবে না। সরকারি অফিসের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতেই এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয় নবান্নর তরফে। এদিকে সরকারি কর্মীরা এই নির্দেশিকা অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়। (Saikat Paul)
2/6তবে এই কঠোর নির্দেশিকা জারির পরই ক্ষুব্ধ হন সরকারি কর্মীরা। এই আবহে মঙ্গলবার মহাকরণ ভবন, খাদ্য ভবন, পঞ্চায়েত দফতরে টিফিনের সময়ে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ দেখান সরকারি কর্মীরা। এদিকে আজ সল্টলেকের করুণাময়ীতেও বিক্ষোভ দেখানোর কথা সরকারি কর্মীদের। আজ বিকাশ ভবন অভিযানে নামার কথা সরকারি কর্মীদের সংগঠনের। (Saikat Paul)
3/6উল্লেখ্য, সরকারি অফিসগুলিতে দুপুর দেড়টা থেকে ২টো পর্যন্ত টিফিনের জন্য বরাদ্দ। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজনে অফিস থেকে বেরোনো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও দরকারে বের হতে হলে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীদের। তবে এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ ডিএ আন্দোলনকারীরা। (Saikat Paul)
4/6গত রবিবার সংবাদ সম্মেলনে সরকারি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মবিরতির ডাকা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতারা। পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বাইরের অন্য কোনও সংগঠনও যদি ন্যায্য দাবিতে কর্মবিরতি ডাকে, সেটিকে সমর্থন জানানোরও কথা বলা হয় ভাস্কর ঘোষদের তরফে। (Saikat Paul)
5/6প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ডিএ আন্দোলন সেঞ্চুরি পার করেছে। তবে এখনও সেই আন্দোলন জারি রয়েছে। আগামীতেও তা জারি থাকবে বলেই আভাস মিলেছে সরকারি কর্মীদের তরফ থেকে। এরই মাঝে এবার ডিএ আন্দোলনকারীদের ছুটি নিয়ে আন্দোলনে বসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। পরে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছিল। নরমে-গরমে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দমাতে চাইছে শাসকদল। এই আবহে এই জোড়া নির্দেশিকা। (Saikat Paul)
6/6এই আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, জমে থাকা ছুটি খরচ করেই আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মী এবং শিক্ষকরা। ১০০-র বেশি দিন ধরে যে ধরনা চলছে, তার ছুটি কোথা থেকে আসছে? জবাবে সরকারি কর্মীদের দাবি, এত বছর ধরে কাজ করায় আমাদের অনেক ছুটিই জমা হয়েছে, সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলে এখন গরমের ছুটি। তাই শিক্ষকরা সেই ছুটিতেই আন্দোলন করছেন। সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি, আন্দোলনের জন্য সব ছুটি শেষ হলে প্রয়োজনে বেতন না নিয়েই আন্দোলন জারি থাকবে। (Saikat Paul)