মহালয়ার দিনে তর্পণ ও শ্রাদ্ধ করে পূর্বপুরুষদের বিদায় জানানো হয়। এদিন পিতৃলোকে ফিরে যান পূর্বপুরুষরা। চলতি বছর মহালয়ার দিনে অত্যন্ত শুভ যোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই শুভ যোগে কিছু উপায় করলে পূর্বপুরুষরা শান্তি লাভ করে।
মহালয়াই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘোষণা করে। যাঁরা পূর্বপুরুষদের মৃত্যু তিথির দিনে তাঁদের শ্রাদ্ধ করতে পারেন না বা মৃত্যু তিথি মনে থাকে না, তাঁরা মহালায়র দিনে মহালয়ার দিনে পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করেন। এই দিনটি আবার সর্বপিতৃ অমাবস্যা বা বিসর্জনী অমাবস্যাও বলা হয়।
চলতি বছর মহালয়ার দিনে সূর্য ও চন্দ্র সূর্যোদয় থেকে সন্ধে ৪টে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত হস্ত নক্ষত্রে উপস্থিত থাকবে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে শুভ গজছায়া যোগ। এর আগে ২০১০ সালের মহালয়ায় এই শুভ যোগ সৃষ্টি হয়েছিল। গজছায়া যোগে কোনও কাজ করলে তাঁর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এই যোগে পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ বা তাঁদের উদ্দেশে অন্য কোনও উপায় করলে ১২ বছর পর্যন্ত পূর্বপুরুষরা তৃপ্তি লাভ করে। ২০২১-এর পরে ২০২৯ সালে, অর্থাৎ ৮ বছর পর এই যোগ সৃষ্টি হবে।
গজছায়া যোগে কিছু বিশেষ উপায় করলে পূর্বপুরুষ প্রসন্ন হন—
দান করুন-
অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধের পাশাপাশি ঘি মেশানো পায়েস দান করলে পূর্বপুরুষরা প্রসন্ন হন। দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের ভোজন করানো উচিত। নিজের সামর্থ্য অনযায়ী বস্ত্র ইত্যাদি দান করা উচিত। এর ফলে পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্টি লাভ করেন এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদ দেন।
সরষের তেলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন
এদিন পূর্বপুরুষরা পিতৃলোকের উদ্দেশে রওনা হন। সন্ধ্যায় সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত। সম্ভব হলে ১৬টি প্রদীপ রাখুন। ১৬টি প্রদীপ রাখতে না পারলে একটি পিতলের প্রদীপ জ্বালান। সেই প্রদীপ যাতে সারারা জ্বলতে থাকে, তা লক্ষ্য রাখবেন। এর প্রভাবে পিতৃদোষের প্রভাব কমে।
গজেন্দ্র মোক্ষ পাঠ
মহালয়ার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে একটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। এর পর গজেন্দ্র মোক্ষ পাঠ করুন। পাঠ শেষ করে বিষ্ণুকে স্মরণ করে তাঁকে পূর্বপুরুষদের রাগ এবং পিতৃদোষ দূর করার প্রার্থনা করুন। পূর্বপুরুষদের জিলিপির ভোগ অর্পণ করুন। ওম শ্রী সর্ব পিতৃ দোষ নিবারণায় ক্লেশম্ হং হং সুখ শান্তিম দেহি ফটঃ স্বাহা মন্ত্রের জপ করুন। শেষে কুকুরকেও জিলিপি খাওয়ান।