অনেকেরই ধারণা, যে সব পুরুষের বুকে বা গায়ে লোম বেশি হয়, তাঁদের যৌনক্ষমতা বেশি হয়। পুরুষের গায়ের লোমের সঙ্গে টেস্টোস্টেরন হরমোনের সম্পর্ক আছেন বলে ভাবেন অনেকে। কথাটি কি ঠিক?
1/7এক একজনের শরীরে লোমের পরিমাণ এক এক রকম। কারও ক্ষেত্রে লোমের পরিমাণ বেশি। কারও ক্ষেত্রে কম। অনেক পুরুষের শরীরেই লোমের পরিমাণ অন্যদের তুলনায় একটু বেশি।
2/7অনেকেরই ধারণা, পুরুষের বুকের বা শরীরের লোমের সঙ্গে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণের সম্পর্ক রয়েছে। টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ যত বাড়ে, গায়ে লোমের পরিমাণ তত বাড়ে। এমনটাই মনে করেন অনেকে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়লে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
3/7কিন্তু বিষয়টি কি সত্যিই তাই? চিকিৎসকরা বলছেন, আসলে বেশিরভাগ মানুষের শরীরেরই লোমের সংখ্যার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। এমনকী নারী এবং পুরুষের শরীরেও লোমের সংখ্যা প্রায়ই একই। কিন্তু যাদের লোম একটু মোটা হয়ে যায়, সেগুলি পরিষ্কার দেখা যায়। বয়ঃসন্ধি পর্যায় থেকে পুরুষের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে কিছু লোম মোটা হতে থাকে। তাই সেগুলিকে বেশি করে বোঝা যায়।
4/7না, বিষয়টি মোটেই অত সহজ নয়। বলা ভালো, শরীরের লোমের পরিমাণ বা মোটা লোমের সংখ্যার সঙ্গে যৌনশক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। এমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা। তবে পুরুষের শরীরে লোমের পরিমাণের সঙ্গে জড়িত অন্য দু’টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
5/7পরিসংখ্যান বলছে, কম বয়সি বিষমকামী মহিলাদের মধ্যে এমন পুরুষের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে, যাঁদের গায়ে লোমের মাত্রা কম। কিন্তু মহিলাদের বয়স বাড়লে, এই রুচির ক্ষেত্রে কিছুটা বদল আসে। বেশি বয়সি বিষমকামী মহিলাদের ক্ষেত্রে গায়ে লোম বেশি মাত্রায় আছে, এমন পুরুষের প্রতি আকর্ষণ বেশি। এমনই বলছে পরিসংখ্যান।
6/7তবে এর বাইরে অন্য একটি মজার পরিসংখ্যান দিয়েছেন সমীক্ষকরা। দেখা গিয়েছে, যযে সব পুরুষের গায়ে লোমের পরিমাণ বেশি, তাঁধের উপস্থিত বুদ্ধির মাত্রা তুলনায় বেশি। বিশেষ করে অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁদের বোধবুদ্ধি অন্য পুরুষদের তুলনায় দ্রুত কাজ করে।
7/7গবেষণা থেকে পরিষ্কার পুরুষের গায়ের লোমের সঙ্গে যৌনশক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। যে সব পুরুষের গায়ে লোম বেশি, তাঁদের পূর্বপুরুষ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা জায়গায় থাকত। বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে সেই জিন এখন এমন চেহারা পেয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। তবে এর সপক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ নেই।