পুজোর দিনে বাঙালির পেটপুজো জোরকদমে হবে না তা হয়! আ... more
পুজোর দিনে বাঙালির পেটপুজো জোরকদমে হবে না তা হয়! আর বাঙালির পেটপুজো মানেই কষা মাংস কিম্বা ইলিশ ভাপা! আর পুজোয় বাংলাদেশের ইলিশই সম্ভবত এবার ‘শো স্টপার’! কোন অনুরোধ গেল বাংলাদেশে?
1/5অষ্টমীর দিন একদম নিরামিষ! তবে সপ্তমী কিম্বা নবমীতে পাতে কষা মাংস কিম্বা ইলিশ সহযোগে সাদা ভাত মেখে খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোয় 'প্যান্ডেল হপিংয়ে' পকিল্পনার সঙ্গে সঙ্গেই 'ফুড প্ল্যানিং' ও কিন্তু জরুরি! আর সেকথা ভেবেই পুজোর দিনে যাতে পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাতে ইলিশের কমতি না হয়, তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
2/5রাজ্যের ইলিশ আমদানীকারকদের তরফে বাংলাদেশের কাছে ২০০০ মেট্রিক টন ইলিশের অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে পুজোর মরশুমে রাজ্যের বাঙালির পাতে ইলিশের কমতি না হয়। জানা গিয়েছে, ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশের অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মাত্র ১২০০ মেট্রিক টনই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। তারফলে ৪৫ দিনের মাথায় বাংলাদেশ থেকে ২০০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন, 'ফিশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন'।
3/5উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রতি বছর এই সময়ে ভারতে ১০০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়। 'ফিশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন' এর সেক্রেটারি এসএ মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁদের তরফে বাংলাদেশ সরকারকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তিনি বলছেন, 'এর কোনও জবাব আসেনি। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর আসবে। দুর্গাপুজোর আগেই বাংলাদেশের ইলিশ বাজারে আসবে।'
4/5উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে ইলিশের দিক থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২১ সালে ৬১৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। ২০১১ সালে ১৬৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়ে। পরের তিন বছরে তা কমে যায় ১০০০ মেট্রিক টন। কোভিডের সময় এই সংখ্যাটা আরও নেমে যায়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ইলিশের চাহিদা থাকলেও যোগানের অভাবে দাম চড়া হয়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য ফেসবুক)
5/5এই বছরেও ইলিশের চাহিদার তুলনায় কমতি রয়েছে যোগানে। ফলে দাম কার্যত আকাশ ছোঁয়া হয়। মূলত, পশ্চিমবঙ্গে হুগলি নদী ও বাংলাদেশের মেঘনা পদ্মায় ইলিশ মোহনায় ধরা পড়ে। এই বছর ১ কিলো কিম্বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা কিম্বা তাও ছাড়িয়েছে কোথাও কোথাও বাংলার বুকে।