সুপ্রিম কোর্টে চলছে এম্পলয়িজ পেনশন স্কিম সংক্রান্ত মামলার শুনানি। শীঘ্রই সেই মামলায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, বর্তমানে পেনশযোগ্য সর্বোচ্চ বেতন হল ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, বেতন যত বেশি হোক না কেন, পেনশন মিলবে ১৫ হাজার টাকার বেতনের নিরিখে।
1/5ভারত সংঘের দায়ের করা মামলায় শুনানি স্থগিত করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। দাবি ওঠে, পেনশযোগ্য সর্বোচ্চ বেতন ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সীমিত রাখা যাবে না। অপরদিকে যুক্তি ওঠে, যে কর্মীরা সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, তাঁদের মূল বেতনের ২৪ শতাংশ (১২ শতাংশ কর্মীর বেতন থেকে, ১২ শতাংশ সংস্থার পকেট থেকে) টাকা পেনশন হিসেবে জমা পড়ে।
2/5এদিকে ইপিএস-এ জমা পড়া অর্থের পরিমাণ মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ জমা পড়া পেনশনের পরিমাণ হল ১,২৫০ টাকা (১৫,০০০ টাকার ৮.৩৩%)। এই হিসেবে অবসরের পর ইপিএস থেকে পেনশন বাবদ সর্বাধিক ৭,৫০০ টাকা মিলবে।
3/5পেনশন গণনার ফর্মুলা হল : (মাসিক পেনশনযোগ্য বেতন x EPS যোগদানের বছর)x৭০। এই হিসেবে কেউ যদি ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পর চাকরিতে যোগদান করেন তাহলে মাসে ৬,৪২৮ টাকা [(১৫,০০০X৩০)/৭০= ৬,৪২৮] করে পেনশন পাবেন।
4/5তবে ১৫ হাজারের সর্বোচ্চ সীমার নিয়ম সরে গেলে যদি কারও মূল বেতন ২০ হাজার টাকা হয়ে থাকে, তাহলে তিরিশ বছরের চাকরির পর তিনি [(২০,০০০X৩০)/৭০=৮,৫৭১] ৮,৫৭১ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন ইপিএস থেকে।
5/5কর্মীরা ৫৮ বছরের হলে এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। ৫০ বছরের পরই অবশ্য পেনশনের টাকা তোলা যায়। তবে সেক্ষেত্রে পেনশনের পরিমাণ কম হবে। এর জন্য ১০ডি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে৷