আদালত যুক্তি দেয়, ওই মহিলা যে স্বেচ্ছায় নিজেকে আঘাত দিতে চেয়েছিলেন, এমনটা নয়। ফলে দায় বর্তায় রেলেরই উপরে। ফলে রেলকে সেই কারণেই ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
1/6ছুটে ট্রেন ধরতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রাণ হারিয়েছিলেন এক মহিলা। ঘটনায় তাঁর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ৮ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে হিন্দুস্তান টাইমস) (HT Photo)
2/6ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ছুটে ছুটে চলন্ত ট্রেনে উঠে পড়ছেন যাত্রীরা। ভারতের বেশিরভাগ রেল স্টেশনেই এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ দৃশ্য। এর ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও নেহাত্ কম নয়। ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এমনই এক দুর্ঘটনায় আলোচ্য মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর নাম দীপালক্ষী বান্দে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস) (HT Photo)
3/6অমরাবতী-নাগপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরার চেষ্টা করছিলেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে ট্রেনে ওঠার জন্য ছুটছিলেন ওই মহিলা। সেই সময়েই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে নীহারিকা কুলকার্নি/হিন্দুস্তান টাইমস) (HT Photo)
4/6রেল অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছিল, এই ঘটনায় তাদের কোনও গাফিলতি ছিল না। মহিলার অসচেতনতা ও অসতর্কতার কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে জানান রেলের আইনজীবী। সেদিনে সাক্ষীদেরও আদালতে পেশ করা হয়। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচারও করা হচ্ছে বলে জানায় রেল। ফাইল ছবি: পিটিআই (HT Photo)
5/6এদিকে আদালত পাল্টা যুক্তি দেয়, ওই মহিলা যে স্বেচ্ছায় নিজেকে আঘাত দিতে চেয়েছিলেন, এমনটা নয়। ফলে দায় বর্তায় রেলেরই উপরে। ফলে রেলকে সেই কারণেই ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও এক যুক্তি দেয় আদালত। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য এএনআই) (HT Photo)
6/6বিচারপতি উর্মিলা যোশী ফালকে বলেন, রেলে আইনে 'অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা' বলে একটি ধারা আছে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হলে এরকম বহু পরিবারই ক্ষতিপূরণ পাবে না। সেই কারণেই রেলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস) (HT Photo)