ডিএ নিয়ে বারবার লাগামহীন ভাষায় সরকারি কর্মীদের আক্রমণ শানিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এই আবহে শনিবার 'টক টু মেয়র' কর্মসূচিতে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, 'শুধুমাত্র কর্পোরেশন নিয়ে প্রশ্ন করবেন'। এতেই প্রশ্ন উঠেছে, দলের অন্দরে কি তিনি কোণঠাসা? কলকাতা মেয়রের 'অভিমানী গলায়' এদিন শোনা যায় রবীন্দ্রনাথের কবিতাও।
1/5কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকের পর 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে অন্য ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ রবীন্দ্রনাথের কবিতা বলতে শুরু করেন, 'কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজি, বাঁশি সংগীতহারা...' পরে ফিরহাদ বলেন, 'দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। আর মিডিয়ায় অন্যান্য বিষয় বলার জন্য মুখপাত্ররা আছেন। আমরা কেন বলব?' (PTI)
2/5জানা গিয়েছে, ফিরহাদকে শুক্রবারের বৈঠকে সতর্ক করেছেন দলনেত্রী। সম্প্রতি ডিএ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ফিরহাদ। এই আবহে ফিরহাদকে মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে তিনি যেন মুখ না খোলেন। (PTI)
3/5উল্লেখ্য, এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ফিরহাদ বলেছিলেন, 'ডিএ নিয়ে এখন অনেক কথা হচ্ছে। মানুষের কাছে কোনটা অগ্রাধিকার হওয়া উচিত? যারা অবহেলিত এবং বঞ্চিত, তাদের মুখে ভাত তুলে দেওয়া? নাকি যারা অনেক পাচ্ছে তাদের আরও বেশি পাইয়ে দেওয়া? যারা অনেক পায়, তাদের আরও পাইয়ে দেওয়া আমার কাছে পাপ বলে মনে হয়। আমি বলছি, না পোষায় ছেড়ে দিন না। কেন্দ্রীয় সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে, সেখানে গিয়ে কাজে যোগ দিন। আমি কোনও বহুজাতিক সংস্থার ক্লার্ক নই। বহুজাতিক সংস্থার কোনও বাবু নই, আধিকারিক নই। ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আমার মাইনে হয়, আমি মানুষের সেবা করি। সেই ব্রতটা সবার আগে দরকার।' (PTI)
4/5এরপর ১২ মার্চ ফিরহাদ বলেন, 'আমরা সব সময় চাই সরকারি কর্মীরা ভালো থাকুক। তাহলে আমরাই খুশি হব। তবে আমার কাছে যদি অর্থ না থাকে তাহলে আমার পেটে ঘুষি মারলেও টাকা বেরোবে না। এখন আন্দোলনকারীরা যে হারে ডিএ চাইছেন, সেই হারে যদি ডিএ দিই আর অন্য রাজ্যের মতো কেন্দ্রের মতো আমরাও পেনশন বন্ধ করে দিই, তাতে মানুষের বেশি ক্ষতি হবে, যারা আজ আন্দোলন করছেন, চাকরি করছেন তারাও তো একদিন অবসর নেবেন। তারাও তো পেনশন নেবেন। তাহলে ক্ষতিটা কাদের হবে?' (PTI)
5/5অনশনরত ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, 'এই ক্ষেত্রে চিকিৎসক পাঠানো যায় না। নাটক আর আন্দোলনের মধ্যে তফাৎ আছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সেখানে বিশ্বাস না করে আন্দোলনে নামলাম। এর অর্থ কী? বিরোধী দলের নেতারা আন্দোলনের মঞ্চে যাচ্ছেন। এতে আলোচনার সম্ভাবনা বাড়ছে না। বরং উল্টোটা হচ্ছে। তাহলে তো আন্দোলনের দরকারই ছিল না। সেটা না করে এরা আন্দোলন করছেন, অনশন করছেন। অনশন মানে তো ছবি তুলতে যাচ্ছেন। তাহলে যিনি ছবি তুলতে যাচ্ছেন তাঁকে আমি কী বলব?' (PTI)