বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক হিংসা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এককালে এই ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। আজ সেই তৃণমূল জমানাতেই বারবার উঠেছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ। এই আবহে ফিরে দেখা যাক বাংলার ইতিহাসের রক্তাক্ত কিছু ঘটনা...
1/7সাইঁবাড়ি হত্যাকাণ্ড - ১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ বর্ধমান শহরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল। প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে অবস্থিত সাঁইবাড়িতে ঢুকে তিনজনকে হত্যা করেছিল বাম সমর্থকরা। উল্লেখ্য, সাইঁরা ছিলেন কংগ্রেস সমর্থক। সেই ঘটনায় ছেলের রক্তমাখা ভাত খেতে বাধ্য করা হয়েছিল মৃতদের মাকে। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত নিরুপম সেন পরবর্তীতে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন।
2/7মরিচঝাঁপি গণহত্যা - ১৯৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের উৎখাত করার নামে মরিচঝাঁপিতে চলেছিল হত্যালীলা। বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা উদ্বাস্তুরা চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে থাকবেন। তাই দণ্ডকারণ্য থেকে সুন্দরবনের মরিচঝাঁপিতে এসেছিলেন তাঁরা। সেই উদ্বাস্তুদেরই নির্বিচারে হত্যা করেছিল বাম শাসিত সরকারের পুলিশ।
3/7মহাকরণ অভিযানে পুলিশের নির্বিচার গুলি - ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযান করেছিলেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। তাতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন।
4/7নানুর হত্যাকাণ্ড – ২০০০ সালে বীরভূমের নানুরে ১১ জন সাধারণ মানুষকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএম সমর্খকদের বিরুদ্ধে।
5/7ছোট আঙারিয়া গণহত্যা - ২০০১ সালের ৮ জানুয়ারি গড়বেতার ছোট আঙারিয়া গ্রামে ১১ জন তৃণমূল কর্মীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে কিছু কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল ছোট আঙারিয়া থেকে।
6/7নন্দীগ্রাম গণহত্যা – এখানে দুটি গণহত্যা ঘটেছিল ২০০৭ সালে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ ভূমি উচ্ছেদ কমিটির মঞ্চে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৪ জন। পরে ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০ জনের।
7/7নেতাই গণহত্যা – ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ের এক সিপিএম নেতার নির্দেশে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী সেই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন।