এই গরম পড়তে শুরু করলেই বাড়িতে বাড়বে পিঁপড়ের সংখ্যা। খোলা খাবার পেলেই ভিড় করবে লাল-কালো পিঁপড়ের দল। বিছানা, ঘর, জামাকাপড় কোথাও যাওয়া ছাড়ে না এরা! অনেকেই পিঁপড়ে তাড়ানোর কেমিক্যাল ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। তবে ঘরে বাচ্চা বা পোষ্য থাকলে কেমিক্যাল ওষুধ বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। তার চেয়ে নীচে দেওয়া ঘরোয়া উপকরণগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন।
সাদা ভিনিগার: সমান পরিমাণে সাদা ভিনিগার আর জল মিশিয়ে ভরে নিন স্প্রে বোতলে৷ এবার এই এই স্প্রে ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়ের হাত থেকে মুক্তি পাবেন৷ প্রতিবার ব্যবহারের আগে অবশ্যই একবার বোতলটা ভালো করে ঝাঁকিয়ে নেবেন৷
লেবুর রস: ঘরের কোণ বা দেওয়াল দিয়ে সার বেঁধে পিঁপড়ের সারি চলেছে আর খাবারের গন্ধ পেলেই চাক বেঁধে হাজির হচ্ছে? ঘর মোছার জলে মেশান লেবুর রস। এক বালতি জলে একটা গোটা লেবুর রস মেশাতে পারেন। দেখবেন লেবুর গন্ধে আর পিঁপড়েরা আসছে না ঘরে। লেবু মেশানো জল ঘরের নানা কোণে ব্যবহার করতে পারেন। এমনকী আসবাবেও।
শুকনো লঙ্কা: শুকনো লঙ্কার তীব্র ঝাঁজ পিঁপড়েদের দিগভ্রান্ত করে দেয়, তারা আর নিজেদের তৈরি করা বাসস্থানে ফিরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পায় না৷ রান্নাঘরে বা ক্যাবিনেটে যদি পিঁপড়ের আক্রমণ বাড়ে, তা হলে সেখানে গোটা শুকনো লঙ্কা রেখে দিন। চাইলে শুকনো লঙ্কা সামান্য সেঁকেও রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪-৫ দিন পর পর লঙ্কা বদলে দিন।
পিপারমিন্ট: পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল জলে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করুন। এটিও পিঁপড়ের দলকে তাড়াতে সাহায্য করে।
দারচিনি: আপনি যে ক্যাবিনেটে খাবার রাখেন, তার মধ্যে বা আশপাশে একটু করে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন৷ টেবিলে খাবার বা ফল ঢাকা দিয়ে রাখলেও চারপাশে দারচিনির গুঁড়ো ছড়ান। দেখবেন পিঁপড়েরা আর আসবে না৷ দারচিনির এসেনশিয়াল অয়েলও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, তার কয়েক ফোঁটা তুলোর বলে নিয়েও ফ্রিজে বা খাবারের ক্যাবিনেটে রেখে দিতে পারেন।