1/5বাংলার বহু কর্মপ্রার্থীর চাকরি চুরি হয়ে গিয়েছে। দিনের পর দিন ধরে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরপ্রার্থীরা। রাজপথে স্লোগান উঠেছে নিয়োগ চাই। কিন্তু এবার সেই রাজপথ, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যে স্লোগান শোনা যেত সেই স্লোগানই শোনা গেল বিয়ে বাড়িতে। খোদ নববধূই স্লোগান দিলেন নিয়োগ চাই, নিয়োগ চাই। তাঁর সঙ্গেই গলা মেলালেন আরও সহযোদ্ধারা।
2/5আসলে নববধূর সাজে সেজেও তিনি কার্যত জানিয়ে দিলেন লড়াইয়ের ময়দান থেকে তিনি সরে যাননি। এই ছবি দেখে মুখ টিপে হেসেছেন অনেকেই। তবে এই ছবি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাংলার লড়াকু যুবক যুবতীদের জেদকে। একদিকে বিয়ের আনন্দ, অন্যদিকে বঞ্চনার যন্ত্রণা, চোখের জল সব যেন মিলেমিশে একাকার।
3/5গত ৬ মে। ভাতারে ছাতনির বাসিন্দা রিন্টু দের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল খেজুরের বাসিন্দা অভয়া রায়। তিনি ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থী। তাঁর দাবি টেট পাশ করেও চাকরি পাইনি। যোগ্যরা চাকরি পান না। অযোগ্যরা চাকরি পান। এই দিনেও ডিপ্রেসন ঘিরে আছে আমায়।
4/5একেবারে বিয়ের সাজে অভয়া চিৎকার করে ওঠেন, নিয়োগ চাই নিয়োগ চাই। আমাদের বঞ্চনা । অন্যরা বলে ওঠেন, মানছি না মানব না। বিয়ের আসর থেকে দিচ্ছি ডাক, বঞ্চনা নিপাত যাক।
5/5আসলে যন্ত্রণা কতটা থাকলে তবে এই স্লোগান বিয়ের আসরে দেওয়া যায় সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন। অভয়া বলেন, আমি ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছি। এই শুভদিনে এই বঞ্চনাটা চেপে রাখতে পারিনি। আনন্দ করতে পারিনি। ৯ বছর হয়ে গেছে। তবুও চাকরি পাইনি। আমাদের একটাই দাবি নিয়োগ চাই। ভেবেছিলাম দিদি কন্যাশ্রী দিচ্ছে। আমিও একজন মেয়ে। ভেবেছিলাম আমি চাকরি করব। আমি ভেবেছিলাম নিজে প্রতিষ্ঠিত হব। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমি বঞ্চিত। বিয়ের আসরেও হাসতে পারনি। এই দিনেও ডিপ্রেসন ঘিরে ধরে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রইল, আমাদের নিয়োগ দিন।