১০ অফিসারের বদলি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে... more
১০ অফিসারের বদলি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ডিএ-র দাবি অনশন আপাতত স্থগিত করার ঘোষণা করেছেন সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর এসবের মাঝেই এবার সরকারি কর্মীদের দমাতে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল রাজ্য সরকারের তরফে। ডিএ ধর্মঘটীদের একদিনের বেতন কাটার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে।
1/5জানা গিয়েছে, উচ্চ শিক্ষা দফতর ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের একটি তালিকা পাঠিয়েছে অর্থ দফতরকে। এই কর্মীদের একদিনের বেতন কাটার কথা বলা হয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যাঁদের শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়, তাঁদের মার্চ মাসের বেতন থেকে একদিনের বেতন কাটা হবে। (Sudipta Banerjee)
2/5এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে আসায় ১০ সরকারি কর্মীকে বদলি করা হয়েছে। যদিও সরকারি কর্মীদের যেকোমও সময় বদলি হতে পারে। তবে এই নিয়ে সরকারের 'প্রতিহিংসা পরায়ণ' মনোভাব দেখতে পাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে আসার কারণেই প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করা হয়েছে এই ১০ কর্মীকে। বদলি হওয়া কর্মীদের ৬ জন নবান্নে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। (Sudipta Banerjee)
3/5ডিএ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, কোনও সরকারি কর্মীকে অর্থ দফতর থেকে বিডিও অফিসে বদলি করা হয়েছে। কাউকে বিডিও অফিস থেকে বন দফতরে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁরা আগামিদিনেও ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। তাঁদের যত দূরেই বদলি করা হোক না কেন, তাঁরা ফের আন্দোলনে যোগ দেবেন। (Sudipta Banerjee)
4/5এদিকে দীর্ঘ ৪৪ দিন ধরে অনশন করেও হকের ডিএ আদায় করতে পারেননি সরকারি কর্মীরা। এই আবহে অবশেষে অনশন স্থগিত করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। লাগাতার আন্দোলন, অনশনের জেরে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। এই আবহে অনশন তুলে দিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ভাস্কর ঘোষ অসুস্থ হওয়ার পরই ইঙ্গিত মিলেছিল যে অনশন উঠতে পারে। আর তাই হল গতকাল। ভাস্করবাবু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এসে অনশন স্থগিত রাখার ঘোষণা করেন। (Sudipta Banerjee)
5/5এদিকে বেতন কাটা প্রসঙ্গে তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মী সংগঠনের তরফে মনোজ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'অতীতে বাম জমানায় সরকারের মদতে বহু ধর্মঘট হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে আসার পর সরকারি দফতরে কর্ম সংস্কৃতি ফেরানোর একটি প্রয়াস শুরু হয়েছিল। ১০ তারিখে যে ধর্মঘট হল, তাতে নবান্ন থেকে শুরু করে সরকারি দফতরগুলি উপস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক ছিল। কেউ যদি সরকারি আদেশনামাকে উপেক্ষা করে ধর্মঘটে সামিল হয়, তাহলে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বলেছিল এবং তা নেওয়া হয়েছে।' (Sudipta Banerjee)