নিয়োগ দুর্নীতি, ডিএ ইস্যু মিলিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে আর কয়েক সপ্তাহ পরই অনুষ্ঠিত হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই আবহে দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
1/6একাধিক ইস্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে কথা হয়েছে। এরই মধ্যে জল্পনা, ডিএ ইস্যুতেও দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে কি না। ডিএ ইস্যুতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। টুইট করে সরকারি কর্মীদের অনশন ভাঙার আবেদনও করেছিলেন তিনি। এই আবহে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল। (Shyamal Maitra)
2/6এগিরে গত ১২ মার্চ সকালে পাঁচ ডিএ আন্দোলনকারী পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন সরকারি কর্মচারীরা। বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, রাজ্যপাল তাঁদের পাশে আছেন। এদিকে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, অনশন প্রত্যাহার করা হবে না এখনই। (Shyamal Maitra)
3/6রাজ্যপালের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর সরকারের ওপর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজভবনের বৈঠকের পর আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বলেন, 'রাজ্যপাল নিজে প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।' সরকারি কর্মীদের আরও দাবি, রাজ্যপাল নাকি তাঁদের বলেছেন, এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তিনি। (Shyamal Maitra)
4/6রাজভবনে প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, 'সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ।' (Shyamal Maitra)
5/6প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে ডিএ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর শনিবার আন্দোলনকারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন তিনি। রাজ্যপালের বার্তা, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানের রাস্তা বার করতে হবে। এর জন্য তিনি রাজ্য সরকারের কাছেও অনুরোধ জানান। (Shyamal Maitra)
6/6প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এবারের বাজেটে ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হল। তাই তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন। (Shyamal Maitra)