গুজরাটে এদিন ভোটগণনা শুরু হতেই ঝড় তুলেছিল বিজেপি। ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে টানা ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আড়াই দশকেরও বেশি সময় পর আজও সেই রাজ্যে অব্যাহত মোদী ম্যাজিকই। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গুজরাটের ভোটবাক্সে। একবার দেখে নেওয়া যাক গুজরাটের হেভিওয়েট প্রার্থীদের হাল হকিকত।
1/7ভূপেন্দ্র প্যাটেল: বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী লড়ছেন ঘাটলোদিয়া আসন থেকে লড়ছেন। আমদামাদ অঞ্চলের এই আসন থেকে এগিয়ে তিনি। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে গতবছরই সরিয়ে দিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েকদিন পরপরই চাপে পড়েন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তবে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রেখে নির্বাচনে নামে লড়াই। (PTI)
2/7রিভাবা জাদেজা: জামনগর উত্তর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির রিভাবা জাদেজা। তিনি ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী। ৩ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন রবীন্দ্র পত্নী রিভাবা। সেখানকার বিদায়ী বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে বিজেপিকে বসিয়ে রেখে টিকিট দেওয়া হল জাদেজার স্ত্রীকে। মেকানিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী রিভাবা এর আগে রাজস্থানে কর্নি সেনার হয়ে কাজ করেছেন। তবে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হবে রিভাবার। এই আসনে প্রথমে এগিয়েও পিছিয়ে পড়লেও এখন সেখানে জাদেজা পত্নীর জয় প্রায় নিশ্চিত। (PTI)
3/7হার্দিক প্যাটেল: পাতিদার আন্দোলনের ‘মুখ’ বিগত দিনে কংগ্রেসে ছিলেন। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি ছিলেন তিনি। তবে নির্বাচনের আগে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বীরামগাম আসন থেকে লড়ছেন। এই আসনে তিনি কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন। প্রাথমিক ট্রেন্ডে পিছিয়ে পড়লেও তিনি এই আসন থেকে জিতে গিয়েছেন। (PTI)
4/7কান্তিলাল আমরুতিয়া (মৌরবি): মৌরবি থেকে এবার প্রাক্তন বিধায়ক কান্তিলাল আমরুতিয়াকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। মৌরবি সেতু বিপর্যয়ের পর এই কান্তিলালকেই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধারকাজে নামতে দেখা গিয়েছিল। সেই ব্যক্তিকেই ভোটে লড়ার টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। বিদায়ী বিধায়ক ব্রিজেশ মেরজার জায়গায় তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি। তিনি সেখান থেকে এগিয়ে আছেন। (PTI)
5/7অল্পেশ ঠাকুর: কংগ্রেসের টিকিটে অল্পেশ ঠাকুর বিধায়ক হয়েছিলেন গতবার। বর্ণের সংরক্ষণের দাবিতে সমান্তরাল আন্দোলন করে প্রচারে এসেছিলেন অল্পেশ। তবে ২০২২ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি গুজরাট ক্ষত্রিয় ঠাকুর সেনা গঠন করে ওবিসির মধ্যে নিজের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। (PTI)
6/7চন্দ্র সিং রাউলজি (গোধরা): গোধরা থেকে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র সিং রাউলজি। বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মুক্তির পক্ষে যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম চন্দ্র সিং রাউলজি। তিনি আবার অভিযুক্তদের সংস্কারি ব্রাহ্মণ বলেও সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। ২০০৭ ও ২০১২ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটেই জিতেছিলেন। (PTI)
7/7জিগনেশ মেভানি: ভদগাম কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন জিগনেশ মেভানি। গতবার কংগ্রেসের সাহায্যে নির্দল হিসেবে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন মেভানি। গোটা দেশে দলিতদের এক ‘মুখ’ হয়ে উঠেছেন জিগনেশ। বর্তমানে তিনি হেরে গিয়েছেন। (PTI)