সেতু ভেঙে ১৪০ জনের মৃত্যু। তাও মৌরবিতে নিজেদের পায়ের তলায় জমি ধরে রাখল বিজেপি। মৌরবি থেকে এবার প্রাক্তন বিধায়ক কান্তিলাল আমরুতিয়াকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি।
1/5মৌরবি সেতু বিপর্যয়ের পর এই কান্তিলালকেই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধারকাজে নামতে দেখা গিয়েছিল। সেই ব্যক্তিকেই ভোটে লড়ার টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। বিদায়ী বিধায়ক ব্রিজেশ মেরজার জায়গায় তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি।
2/5মৌরবি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ন্তিলাল প্যাটেল মাত্র ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এদিকে আম আদমি পার্টির পঙ্কজ কান্তিলাল রানসারিয়া এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এই কেন্দ্রে। তিনি ১০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন এই কেন্দ্রে। এদিকে এই কেন্দ্রে প্রথম স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে লড়াই করা কান্তিলাল ৫৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই কেন্দ্র থেকে।
3/5প্রসঙ্গত, মৌরবিতে ৩০ অক্টোবর সেতু ভেঙে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১৪১ জন। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল জনসাধারণের জন্য। এর আগে গত ৭ মাস ধরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেতুটি বন্ধ ছিল। ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ওরেভা এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল।
4/5ঘটনার পর ওরেভার ম্যানেজার সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই সেতু নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মৌরবি পুরসভা। ওরেভা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিতে গলদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীরা এই দুর্ঘটনায় বিজেপি-ওরেভা ‘আঁতাতে’র অভিযোগ তুলেছিল।
5/5অপরদিকে এই বিপর্যয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটেই ছিলেন। তাও তিনি মৌরবিতে গিয়েছিলেন ঘটনার দুই দিন পর। তাঁর মৌরবি সফরের আগে হাসপাতাল রঙ করানো হয়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। তবে এতসব বিতর্কের মাঝেও মৌরবি দুর্ঘটনার কোনও প্রভাব পড়ল না ভোটবাক্সে।