হরমোনর ভারসাম্যের অভাবেই এই রোগ হয়। কাদের মধ্যে এর আশঙ্কা বেশি? কীভাবে এর চিকিৎসা করাতে হবে?
1/8হরমোনের ভারসাম্যের অভাবের কারণে পুরুষদের স্তন স্বাভাবিক আকারে বেড়ে যেতে পারে। এমন অবস্থাকে গাইনেকোমাস্টিয়া বলে। হরমোনের কারণ ছাড়াও, এ পিছনে আরও নানা কারণ থাকতে পারে। এটি শুধুমাত্র শারীরিক নানা সমস্যার সৃষ্টি করে, তাই নয়, এর ফলে অনেককেই নানা সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
2/8এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, ডক্টর শিল্পী ভাদানি জানিয়েছেন, এর পিছনে বহু কারণ থাকতে পারে। সেটি জানার পরেই চিকিৎসা সম্ভব। তাঁর কথায়, শৈশব, বয়ঃসন্ধি বা বেশি বয়স— যে কোনও সময়েই এই সমস্যা হতে পারে।
3/8চিকিৎসকরা বলছেন, এর প্রধান কারণ হরমোনের ভারসাম্যের অভাব। পুরুষের শরীরে সেই সব হরমোনগুলির মাত্রা যদি বেড়ে যায়, যেগুলি মহিলাদের স্তনের বৃদ্ধির পিছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, তাহলে পুরুষের স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে। এটিই এই অসুখের প্রধান কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
4/8এছাড়াও লিভারের অসুখ, ফুসফুস, প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা বা অণ্ডকোষের ক্যানসারের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
5/8মেদও এই সমস্যার আরও একটি কারণ। যাঁরা বেশি মদ্যপান করেন, এমনকী ধূমপান করলেও বেড় যেতে পারে এই সমস্যার আশঙ্কা।
6/8পুরুষের স্তনের গঠন এবং তার বৃদ্ধিই এই অসুখের প্রধান লক্ষণ। এটি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
7/8কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যায় বুকের পেশিতে ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। তেমন সমস্যা দেখলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি অন্য বড় কোনও অসুখের লক্ষণও হতে পারে।
8/8মূলত দু’ভাবে এর চিকিৎসা হতে পারে। প্লাস্টিক সার্জন অপারেশনের মাধ্যমে স্তনের টিস্যু বাদ দিয়ে দেন। এছাড়া প্রয়োজন মতো চিকিৎসকরা হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য ওষুধও দেন।